প্রতিনিধি ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ , ৬:০৪:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
শহীদুল ইসলাম, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: ফুটবল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের মধ্যে ট্রফি বিতরণ না করে খেলোয়ার ও কয়েকশ’ দর্শকদের সামনে সেগুলো ভেঙে ফেলেছেন আলীকদমের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। তার ট্রফি ভাঙার এই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় আলীকদমের ২ নম্বর চৈক্ষ্যং ইউপির রেপারপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ইউএনও’র বিতর্কিত এই কর্মকাণ্ডের জন্য তার অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয়রা। শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আলীকদম পান বাজার চত্বরে এই বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম।
স্থানীয়রা জানান, আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে আবাসিক জুনিয়র একাদশ বনাম রেপার পাড়া বাজার একাদশের ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলীকদম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহরুবা ইসলাম। খেলা শেষে সমাপনী বক্তব্যের সময় হঠাৎ খেলোয়ারদের মধ্যে ট্রফি বিতরণ না করে তা ভেঙে ফেলেন নির্বাহী কর্মকর্তা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেরুবা ইসলাম বলেন, ‘খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের সময় হঠাৎ একজন এসে বলেন, খেলায় যে গোল হয়েছে সেটা তারা মানে না। তখন আমি ফের তাদের খেলতে বলি। কিন্তু তারা বিষয়যটি নিয়ে হৈ চৈ শুরু করে ও ট্রফি নেবে না বলে জানায়। সবাই এক সুরে বলে ওঠে- প্রয়োজনে ট্রফি ভেঙে ফেলেন। আমি পরিস্থিতি সামল দিতে তাদের কথা মতো ট্রফি ভেঙেছি।’
এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘একজন নির্বাহী কর্মকর্তা এ ধরনের কাজ করতে পারেন না। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি ট্রফি না ভেঙে সেগুলো নিজের কাছে রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারতেন। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।’
খেলার আয়োজক সংগঠন ‘আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজ’ এর সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ট্রপি ভাঙ্গার বিষয়ে আমাদের কোন আন্দোলন বা কর্মসূচী নেই। যারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তাদের সাথে আমাদের একাত্মতা নেই। এ বিষয়ে আমরা কোথাও অভিযোগও দেয়নি।
এ দিকে, শনিবার বিকাল চারটায় আলীকদম পানবাজার মোড়ে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম। তিনি বলেন ২৪ ঘন্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে। নইলে আলীকদম অচল হওয়ার আশংকা আছে।