দেশজুড়ে

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরছেন নিজ বাড়িতে

  প্রতিনিধি ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৭:০৮:২৮ প্রিন্ট সংস্করণ

আশ্রয়কেন্দ্র থেকে ফিরছেন নিজ বাড়িতে

গত এক সপ্তাহ ধরে ঘুমধুম সীমান্তে মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ (বিজিপি) এবং আরাকান আর্মি (এএ) সাথে গোলাগুলির ঘটনায় সীমান্ত এলাকার প্রা সব গুলো গ্রামের মানুষ অনেকটা আতঙ্কেই আশ্রয় নিয়েছেন নিজেদের নিকটাত্মীয় স্বজন এবং উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয় কেন্দ্রে।

তবে গতকাল এবং আজ ঘুমধুম সীমান্ত অনেকটা শান্ত হওয়ার কারণে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া ২৮ টি পরিবারের ১৪০ জন সদস্য দুপুরের পর থেকেই নিজেদের গ্রামে ফিরতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউপি চ চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি বলেন গতকাল এবং আজকে সকাল হতে ঘুমধুম সীমান্ত এলাকা অনেকটা স্বাভাবিক আছে, গোলাগুলির তেমন কোন শব্দ শোনা যায় নি।

গত কয়েকদিন ধরে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির কারণে আতঙ্কে ছিলেন এলাকাবাসী।তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশক্রমে আমরা সীমান্ত লাগুয়া গ্রামের বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্র চলে আসতে বলি। তবে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকার কারণে দুপুরের পর হতে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া ২৮ পরিবারের প্রায় সকলেই নিজেদের গ্রামে ফিরতে শুরু করেছে।

নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র খোলা থাকবে বলেও জানান ইউপি চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ। এদিকে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী তুমব্রু ও ঘুমধুম বিওপি পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি তুমব্রু বিওপি পরিদর্শন ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজ খবর শেষে ঘুমধুম বিওপি পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) আশ্রয় গ্রহণকারী সদস্যদের রাখা ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।পরে ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কুল মাঠে সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।এসময় তিনি বলেন সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবি’র নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

দেশ মাতৃকার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সীমান্তে উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত রয়েছে বলেও তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।এসময় বিজিবি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কক্সবাজার রিজিয়ন কমান্ডার, রামু সেক্টর কমান্ডার ও কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে দুপুরে কক্সবাজার টেকনাফের হোয়াইক্ষ্যাং উলুবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে আরো ৬৩ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে হোয়াইক্ষ্যাং বিজিবি ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে বলে নিশ্চিত করেন বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.শরীফুল ইসলাম।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by