ইয়েমেনে অস্ত্রবিরতির ঘোষণা সৌদি জোটের

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

পবিত্র রমজান মাসে ইয়েমেনে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট। জোট গতকাল মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) জানিয়েছে, তারা ইয়েমেন সমস্যার রাজনৈতিক সমাধানের পথ খোলা রাখতে পবিত্র রমজান মাসে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে।

ইয়েমেনের শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীরা সৌদি জোটের এই সিদ্ধান্তকে অর্থহীন বলে খারিজ করে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, দেশের বন্দরগুলো আগে পুরোপুরি খুলতে হবে।

এর আগে জাতিসংঘের তরফে রমজানে যুদ্ধবিরতির আবেদন জানানো হয়েছিল। আগামী ২ এপ্রিল থেকে রমজান মাস শুরু হচ্ছে।

একটি শান্তি চুক্তিতে পৌঁছাতে ও দারিদ্র্যপীড়িত দেশটিতে সৃষ্ট ভয়াবহ মানবিক সংকট প্রশমনে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ও ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের সাথে কাজ করে যাচ্ছে জাতিসংঘ। দুই পক্ষ ২০১৫ সাল থেকে এ যুদ্ধ চালিয়ে আসছে।

সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, জোটের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে- আজ বুধবার (৩০ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে তারা ইয়েমেনে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে।

সৌদির নেতৃত্বাধীন জোটের মুখপাত্র বলেছেন, এই যুদ্ধবিরতিকে সফল করতে জোটের তরফ থেকে সব ধরনের চেষ্টা হবে। তারা রমজান মাসে শান্তি ও ইতিবাচক পরিস্থিতির পক্ষে। তারা চান, এই বিরোধ মিটে যাক।

ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা এই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। তাদের বক্তব্য, জোটের তরফ থেকে দেশের বন্দরগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। সানা বিমানবন্দরও বন্ধ।

হুথির মুখপাত্র বলেছেন, জোট যদি বন্দরগুলো থেকে অবরোধ না তোলে তাহলে সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার ঘোষণা অর্থহীন। লড়াইয়ের থেকেও বন্দর অবরোধ বেশি মারাত্মক।

ইয়েমেনে এই লড়াই সাত বছর ধরে চলছে। এই লড়াই বন্ধ করার জন্য বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে। এ যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।  ইয়েমেনের লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে পড়েছেন।

গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিল লড়াই বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু হুথি বিদ্রোহীরা সেখানে যোগ দেয়নি। তারা বলেছিল, নিরপেক্ষ কোনো দেশে বৈঠক হলে তারা যেতে পারে। সৌদিতে কোনো বৈঠকে তারা অংশ নেবে না।

একতরফা অস্ত্রবিরতি কতদিনের জন্য হবে ও হুথি শেষপর্যন্ত তাতে সায় দেবে কি না, এ বিষয়ে এখনো সম্পূর্ণ তথ্য জানা যায়নি। -ডয়চে ভেলে