রংপুর

উলিপুরে ৯ বছরের শিশুর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

  প্রতিনিধি ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৭:৪০:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

উলিপুরে ৯ বছরের শিশুর মৃত্যু নিয়ে ধুম্রজাল

কুড়িগ্রামের উলিপুরে ইতিশা আক্তার জিম (৯) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডাকুয়ারকুটি গ্রামে। নিহত শিশুর মামা জরুরি সেবা ৯৯৯ ফোন করে ভাগনির মৃত্যুর অভিযোগ করায় শিশুটির মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের ডাকুয়ারকুটি গ্রামে ইউনুস আলী জীবনের মেয়ে ইতিশা আক্তার জিম হঠাৎ করে শনিবার দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর ঘটনা শুনে নিহত শিশুর মামা রবিউল ইসলাম এর সন্দেহ হলে জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। এরপর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।

নিহত শিশু জিম রহিমাতুল কোবরা হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রথম জামাতের শিক্ষার্থী ছিল। এদিকে শিশুটির মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধুম্রজাল। এলাকাবাসী আরও জানায়, নিহত শিশুর পিতা ও মাতার মধ্যে ৩ বছর পূর্বে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকেই শিশুটি কখনো পিতার বাড়িতে আবার কখনো পার্শ্ববর্তী রাজারহাট উপজেলার নাঁজিমখান ইউনিয়নের বইতপাড়া এলাকায় মামার বাড়িতে থাকতেন।

হঠাৎ করে শিশুটির পিতার বাড়িতে ভাগনি জিমের মৃত্যুর খবর পেয়ে মামার সন্দেহ হলে তিনি জরুরি সেবায় ফোন করেন।নিহত শিশুর পিতা ইউনুস আলী জীবন জানান, জিম কয়েকদিন পূর্বে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফিরে খেলাধুলার সময় শরীরে আঘাত পায়। এরপর স্থানীয় চিকিৎসকের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করানো হয়। শুক্রবার জিমের শরীরে ব্যথা বেড়ে গেলে তার এক্সরেসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। সেখানে তার কোনো সমস্যা ধরা পরেনি বলে দাবি করেন ইউনুছ আলী।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার গভীর রাত থেকে জিম ব্যথায় কাতরাতে থাকেন। শনিবার সকালে ওষুধ খাওয়ানোর পর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নিয়ে রংপুর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরমধ্যেই দুপুরে সে হঠাৎ করে মারা যায়। ভাগনির মৃত্যুর খবর শুনে জিমের মামা কি কারণে ৯৯৯ ফোন করেছেন তা আমি জানা নেই।

নিহত শিশুর মামা রবিউল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি, ৯৯৯ এ ফোন করার কথা স্বীকার করেন। তবে ভাগনির মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ গোলাম মর্তুজা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, শিশুটির মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by