চট্টগ্রাম

একজন কবি জিয়াউল ইসলাম মজুমদার

  প্রতিনিধি ১৩ জুন ২০২৩ , ৬:৩৩:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি :

মোহাম্মদ জিয়াউল ইসলাম মজুমদার বর্তমানে বান্দরবান এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে সুনামের সাথেই বান্দরবান পার্বত্য জেলার সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে অবদান রেখে চলেছেন।
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৩নং কালোচো উত্তর ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত পরিবার খিলপাড়া মজুমদার বাড়িতে ১৫ই মার্চ ১৯৭৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি।
বাবা মরহুম মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম মজুমদার ও মা মিসেস উম্মে সালমা।

দাদা ছিলেন মরহুম মমতাজ উদ্দিন মজুমদার যিনি ১৯২১ সালে কোলকাতা আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশকৃত
গণিতে বিএ, বিএড। বাবা শফিকুল ইসলাম মজুমদার ব্যাংকে চাকুরি করতেন। মমতাজউদ্দিনের চাচাতো ভাই খিলপাড়া মজুমদার বাড়ির মরহুম মোঃ জুনাব আলী
মজুমদার ছিলেন তৎকালীন হাজীগঞ্জ এলাকা থেকে নির্বাচিত ব্রিটিশ পার্লামেন্ট মেম্বার (এম. এল. এ)।
তিন ভাই-চার বোনের মধ্যে ষষ্ঠ জিয়াউল ইসলাম রাজাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় দিয়ে শিক্ষা জীবনশুরু করেন। ক্লাস ফাইভে তিনি টেলেন্টপুলে বৃত্তি পান।
অতঃপর নাসিরকোট হাইস্কুল থেকে ১৯৯৪ সালে এস.এস.সি পাশ করেন। ঢাকা নটরডেম কলেজে চান্স পেয়ে ১৯৯৬ সালে এইচ.এস.সি পাশ করেন। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার বাসনায় তিনি কুয়েটে ভর্তি হন। চতুর্থ বর্ষে থাকাকালীন বাবাকে হারান। কুয়েট থেকে ২০০২ সালে পাশ করে প্রাইভেট চাকরিতে প্রবেশ করেন। ২০০৫
সালে দেশের সর্ববৃহৎ প্রকৌশল সংস্থা এলজিইডিতে চাকরি শুরু করেন। ২০১১ সালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। অতঃপর ২০১৬ সালে
কমনওয়েলথ ওপেন ইউনিভার্সিটি, ইউকে থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। ড. জিয়া বর্তমানে এলজিইডির একজন দক্ষ প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন।
চাকরির পাশাপাশি তিনি অনেক প্রফেশনাল সংস্থা, সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত। তিনি Project Management Institute(PMI), USA; American Society of Civil Engineers(ASCE); American Concrete Institute (ACI) এরসদস্য।
Institute of Engineers, Bangladesh (IEB) এর Life Fellow. বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর আজীবন সদস্য। Bangladesh Engineers Club Ltd,
Uttara এর আজীবন সদস্য। প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সালমা-শফিক সমাজকল্যাণ সংস্থা, খিলপাড়া, হাজীগঞ্জ। এলাকায়
তিনি বিভিন্ন জনহিতকর কাজে জড়িত। তিনি সর্বমহলেএকজন নিষ্ঠাবান, পরোপকারী, আদর্শ সজ্জন হিসেবে পরিচিত।
ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের জনক। শৈশব থেকেই তিনি কবিতা লিখতেন। মাঝে পড়াশুনা আর পেশাগত ব্যস্ততার কারণে লেখা হয়নি। ২০১৯ সাল থেকে তিনি পুনরায় কবিতা লেখা শুরু করেন। মুক্ত বিহঙ্গ তার প্রথমকাব্য গ্রন্থ যা প্রথম একুশে বই মেলায় প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো।

রড় সিমেন্টের হিসেব নিকাশের বাইরেও যে তার সাহিত্যের প্রতি অগাদ ভালোবাসা,প্রেম জড়িয়ে আছে আছে তা জানাযাবে তার লেখা কবিতার  বইগুলো পড়লে।এই কবির লেখা এই পর্যন্ত তিনটি কবিতার বই বের হয়েছে যা হলো মুক্ত বিহঙ্গ,মনের বিলাসে এবং ভালোবাসার খোঁজে ভবঘুরে জিয়া।
জানালেন কাজের প্রয়োজনেই প্রচুর ঘুরতে হয় তাকে,আর তাই কবিতার পাশাপাশি ভ্রমণ বিষয়েও বই লিখার ইচ্ছে আছে তার।
জানালেন পার্বত্য বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিমোহিত করেছে এই প্রকৌশলী কবিকে।
জানালেন পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এর প্রচেস্টায় সরকারের সদিচ্ছার কারনে বান্দরবান এর প্রায় সবগুলো উপজেলাতে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের কাজ করছে এলজিইডি।
আর তাই এলজিইডি এর প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বেই  জেলার সব গুলো উপজেলাতে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকাণ্ড  বাস্তবায়নের সামগ্রিক দিক পরিদর্শনে যেতে হয় সমতল থেকে দুর্গম উপজেলা গুলোতেও।
পার্বত্য বান্দরবানের পথে প্রান্তরের পরিবেশ আর পাহাড় মেঘের  সৌন্দর্যে  মনের অজান্তেই তিনি লিখতে শুরু করেন।
আগামীতেও আরো সুন্দর সুন্দর কবিতার বইয়ের পাশাপাশি ভ্রমণ বিষয়ক বই ও ছোট গল্প,উপন্যাস উপহার দিবেন বলে জানালেন এলজিইডি এর এই প্রকৌশলী কবি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by