দেশজুড়ে

এমন মনোমুগ্ধকর পরিবেশে যে কোনো কিছু করা যায়: সীতাকুণ্ডে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব

  প্রতিনিধি ২৯ মে ২০২২ , ৫:৪৮:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ

সীতাকুণ্ডের কুমিরা রেলওয়ের পরিত্যক্ত বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকা পরিদর্শনে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম):

চট্টগ্রাম নগরীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত ঐতিহাসিক স্থান ‘সিআরবিতে’ হাসপাতাল নির্মাণ প্রক্রিয়া থেকে অবশেষে সরে দাঁড়িয়েছে কর্তৃপক্ষ। নগরীর ফুসফুস খ্যাত সিআরবিতে রেলের জমিতে বেসরকারি হাসপাতাল নির্মাণের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠন বিবৃতি দিয়ে এর প্রতিবাদ জানিয়ে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। সিআরবিতে রেলের জমিতে প্রস্তাবিত বেসরকারী হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পটি অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে বিকল্প প্রস্তাব যাচ্ছে আগামী সংসদীয় কমিটির সভায়।

রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চলতি মে মাসে অনুষ্ঠিত সভায় সিআরবির পরিবর্তে রেলওয়ের অন্য জায়গায় (বিকল্প স্থানে) পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় ইউনাইটেড গ্রুপের মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ওই সভায় সংসদীয় কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরা রেলওয়ের পরিত্যক্ত বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকায় হাসপাতালটি করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাবের আলোকে রোববার বেলা ১২টায় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর কুমিরায় পরিত্যক্ত সেই বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকা পরিদর্শন করেন।

এসময় তিনি এ জায়গা দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, এমন একটি সুন্দর ও মনোরম পরিবেশ জায়গাতে যেকোন কিছু করা যায়। শুনলাম এখানে দীর্ঘ ৩০/৩৫ বছর যাবত রেলওয়ের বিশাল জায়গাটা পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। সংসদীয় কমিটির একটা প্রস্তাব আছে, জায়গাটা আমরা দেখে একটি রির্পোট দেবো। তবে তিনি সরাসরি হাসপাতাল নির্মাণের কথা না বলে বলেন, এখানকার প্রাকৃতিক পরিবেশ খুব মনোমুগ্ধকর। কিছুদিন পর একটি টেকনিক্যাল টিম আসবে তারা জায়গাটা দেখে একটি রির্পোট দিবে দখল স্বত্ব মালিকানা স্বত্ব বজায় রেখে কিভাবে জায়গাটি ব্যবহারপোযেগী করে যাতে চট্টগ্রামবাসী তথা দেশবাসীর উপকারে আসে সেই চেষ্টা করবো।

পরিদর্শনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, রেলের জিএম মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, চীফ এস্টেট অফিসার সুজন চৌধুরী, চীফ ইনঞ্জিনিয়ার আবু জাফর মিয়া, বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহবুবুল করিম, বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার ( ভারপ্রাপ্ত) সহ রেলের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by