প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২৩ , ৪:৪৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এখন আলোচনার মূল বিষয় বড় আকারের ষাঁড় গরু। আকৃতি ও সৌন্দর্যে ‘নোয়াখালী কিং’ নজর কেড়েছে সবার। গরুর মালিকের দাবি, এখন পর্যন্ত এটিই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু। কেউ কেনার আশায় দেখতে আসছেন, আবার অনেকে শুধু এত বড় ষাঁড়টি সামনাসামনি দেখার জন্যই আসছেন।
৫৭ মণ ওজনের ষাঁড় ‘নোয়াখালী কিং’ এর মালিক লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী স্টীলব্রিজ এলাকার মোহাম্মদ উল্যা। পেশায় তিনি গরুর খামারী। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে চারদিন বয়সী বাছুরসহ একটি দুধের গরু ক্রয় করেন। আসন্ন কুরবানির ঈদে বড়সড় এ ষাঁড়টি ৪০ লাখ টাকায় বিক্রি করতে চান তিনি। আজ বুধবার (২১ জুন) তিনি ষাঁড়টি ঢাকার গাবতলি হাটে তুলবেন বলে জানা গেছে। স্থানীয় বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্মে পুরোপুরি প্রাকৃতিক খাবারের মধ্যে দিয়ে বড় হয়েছে ‘নোয়াখালী কিং’ নামক ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি। সাড়ে তিন বছরে ষাঁড়টির ওজন হয়েছে ৫৭ মন।
ষাঁড়ের মালিক মোহাম্মদ উল্যা জানান, তিনি প্রায় ৬ বছর আগে বিসমিল্লাহ ডেইরি ফার্ম নামে একটি গরুর খামার গড়ে তোলেন। মূলত দুধের গরু পালন করে দুধ বিক্রি করেন তিনি। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে দুই লাখ ৫৩ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রিজিয়ান জাতের একটি দুধের গরু কেনেন। তখন গরুর সাথে থাকা বাছুরটি বয়স মাত্র চারদিন। বাছুরটি তিনি লালনপালন করে বড় করেন। বিশালাকৃতির দেহ হওয়য় এটির নাম দিয়েছেন ‘নোয়াখালী কিং’। সেটি কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি।
মোহাম্মদ উল্যা আরও বলেন, অনেক খামারী কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করে। কিন্তু আমি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবারের মাধ্যমে গরুটি পালন করেছি। এটি ভূষি, খৈল, খড় ভাতের মাড় এবং কাঁচা ঘাস খায়। প্রতিদিন ১৫-১৬ কেজি খাবার লাগে ষাঁড়টির। খুবই যত্ম করে ষাঁড়টি লালনপালন করেছি।
রায়পুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ সম্প্রসারণ কর্কমর্তা ডাঃ মো. মোফাজ্জল হোসেন বলেন, ষাঁড়টির পুরো দেহের পরিমাপ করে দেখা হয়েছে। ষাঁড়ের দৈর্ঘ্য ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, বেড় ৭ ফুট ৪ ইঞ্চি। এর ওজন প্রায় ৫৭ মন। গড়ে ২৩ শ কেজি মাংস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।