প্রতিনিধি ৩০ মে ২০২১ , ৭:০৩:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ
গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্রনদ, তিস্তা ও যমুনা নদী বেষ্টিত চরাঞ্চলগুলোতে এবছর মরিচের ব্যাপক ফলন হয়েছে। যার ফলে অনেকটাই খুশি মরিচ চাষিরা। তবে মৌসুম সময়ে বাজারে পাকা ও শুকনো মরিচের ম‚ল্য কম থাকায় চাষিরা বিপাকে পড়েছেন। কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গাইবান্ধা জেলায় ১ হাজার ৮৫৪ হেক্টর জমিতে মরিচ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৭১০ হেক্টর। এরমধ্যে জেলার ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা ও যমুনা নদী বেষ্টিত সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলগুলোতে মরিচের আবাদ হয়েছে অনেক বেশি।
কিন্তু মৌসুম সময়ে হাট-বাজারে পাকা ও শুকনো মরিচের চাহিদা ও ক্রেতা কম থাকায় ম‚ল্য অপেক্ষাকৃত কম। কৃষকরা জানিয়েছেন, প্রতিমণ শুকনো মরিচ ৩ হাজার থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা হারে বিক্রয় হচ্ছে। অথচ গত বছর মৌসুম সময়ে প্রতিমণ শুকনো মরিচের মূল্য ছিল ৫ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার ২শ টাকা। মূল্য কম থাকায় কৃষকরা মরিচ বিক্রি করে তাদের উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না।
এদিকে ফুলছড়ি আশে পাশের এলাকায় কোন হিমাগার না থাকায় পাকা এবং শুকনো মরিচ নিয়ে চরম দুর্ভোগের কবলে পড়েছেন। দরিদ্র কৃষকরা অভাবের তাড়নায় স্বল্প মূল্যে মরিচ বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে।