চট্টগ্রাম

বিজয়নগরে বৈদ্যুতিক লাইনের নিচে ভবন নির্মাণে, বিদ্যুৎ স্পর্শে শ্রমিক গুরুতর আহত

  প্রতিনিধি ২৪ জুন ২০২৩ , ৬:৩৫:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ

আলমগীর হোসেন, বিজয়নগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার ২নং চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও আমতলী বাজার চৌরাস্তার মোড় থেকে পশ্চিম দিকে আশা পল্লী বিদ্যুতের ১১কেবি বৈদ্যুতিক লাইনের নিচে নবনির্মাণে ভবনের কাজ করতে গিয়ে, উপজেলার সাতগাঁও মাদ্রাসা পাড়ার আব্দুল মালিকের চতুর্থ সন্তান ইমন মিয়া (১৮) নামক এক নির্মাণ শ্রমিক ১১কেবি বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শে তৃতীয় তলা থেকে ছিটকে মাটিতে পড়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া হসপিটালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থার অবনতিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতকে ঢাকা প্রেরণ করেন।

স্থানীয়দের মতে জানা যায়, গত ১৬ই এপ্রিল বাজারের ফার্মেসি ব্যবসায়ী এলাকার মন্নর আলীর ছেলে আব্দুল মান্নান (২৮) একই ভবনের উপর ছাদে গিয়ে, পাইপ দ্বারা পানি ছিটাতে গেলে, একই স্থানে ১১কেবি বৈদ্যুতিক তারে স্পর্শে গুরুতর দুর্ঘটনা ঘটলে প্রায় ১মাস ঢাকায় উন্নত চিকিৎসায় কোনরকম বেঁচে গেছে, এখনো আবার একই জায়গাতে এ দুর্ঘটনা ঘটছে এটা মালিকের অবহেলার কারণে হয়েছে। মালিক কেমন করে বৈদ্যুতের তারের নিচে ভবন নির্মাণ করেন বিদ্যুতের তার না সরিয়ে। যেহেতু কিছু দিন আগেও এমন একটা ঘটনা ঘটছে ওনার সতর্ক থাকা দরকার ছিল অথবা বিদ্যুৎ অফিস কিভাবে উনাকে অনুমতি দিল তারের নিচে ভবন নির্মাণ করতে। নির্মাণে নাই কোন নিরাপত্তা।

এ বিষয়ে আহতের বাবা আব্দুল মালেক বলেন, আমি খুবই গরীব মানুষ আমার পাঁচ ছেলে পাঁচ মেয়েকে নিয়ে খুবই কষ্টে দিনমজুরে দিনযাপন করতেছি, আমার ছেলে এই দুর্ঘটনার পর মালিক পক্ষ আমার সাথে কোন সান্তনা মূলক কথা বলেননি, যেহেতু তার কাজ করতে গিয়ে আমার ছেলের এই দুর্ঘটনায় আহত, ওনার উচিত ছিল আমার ছেলের খোঁজ খবর নেওয়া।

এ বিষয়ে ভবন মালিক মোঃ বাচ্চু মিয়া (মেম্বার) দায়ভার এড়িয়ে বলেন, আব্দুল মান্নানের দুর্ঘটনার পর আমি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে এই তার সরানোর জন্য দরখাস্ত দিলে, তারা আমার কাজটা কোন অগ্রগতি করেনি। তিনি আরও বলেন, হ্যাঁ শ্রমিকটি আমার ভবনে কাজ করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটছে, আমি তার খোঁজ খবর নিতেছি।

এ বিষয়ে বিজয়নগর উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের কর্তব্যরত ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম বলেন, প্রথম ঘটনার পর ভবন মালিক আমাদের কাছে দরখাস্ত দিলেও, যেহেতু এটা তার সরানোর বিষয় অফিসে কিছু নিয়ম মেনে আমাদের কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে ভবন মালিককে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যাহাতে ভবনের উপরে কোন কাজ না করা হয়, সমস্যার সমাধানের আগ পর্যন্ত। এবং প্রতি নিয়ত আমরা মাইকিং দাঁড়া উপজেলাবাসিকে সতর্ক করতেছি এই ঝড় বৃষ্টির দিনে, বিদ্যুৎ লাইনের আশেপাশে গাছ কাটাসহ ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বিদ্যুৎ অফিসের অনুমতি ছাড়া, কোন কাজ না করতে। ভবন মালিক আমাদের সতর্কাদেশ অমান্য করে তার ইচ্ছামতন কোন সেফটি অবলম্বন না করে, বাজারে লোকসমাগমে কাজ করে যাচ্ছেন। আজকের এই দুর্ঘটনার পর আমি সরজমিনে তদন্ত করতে গেলে, ভবন মালিকের সতর্কতার অবলম্বনে গাফিলতি ছিল।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি পল্লী বিদ্যুৎ এর এ.জি.এম এর সাথে কথা বলে বিষয়টা নিশ্চিত করে দেখতেছি সরকারিভাবে কি পদক্ষেপ নেওয়া যায়, যদি মালিক পক্ষ পল্লী বিদ্যুতের আদেশ অমান্য করে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে কাজ করে থাকে, তাহলে অবশ্যই আইনের আওতায় আসবে, বাকিটা সরজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by