চট্টগ্রাম

চকরিয়ায় একজনকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ৭ জনের

  প্রতিনিধি ১৫ আগস্ট ২০২১ , ৫:২৩:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

পথচারী নারী হাজেরা বেগম রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তাকে বাঁচাতে গিয়েই গাড়িচালক নিয়ন্ত্রণ হারান

কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা মাইক্রোবাস (নোয়া) পথে পথে যাত্রী তুলে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিল। গাড়িটিতে তখন যাত্রী ছিলেন ১০ জন। তাদের মধ্যে তিন শিশু, তিন নারী ও তিন পুরুষ ছিলেন। সকাল ১০টার দিকে চকরিয়ার ফাসিয়াখালীর ভেন্ডিবাজার এলাকায় পৌঁছালে পথচারী নারী হাজেরা বেগম রাস্তা পার হচ্ছিলেন। তাকে বাঁচাতে গিয়েই গাড়িচালক নিয়ন্ত্রণ হারান।

তারপর সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা লেগে গাড়ি পাশের পুকুরে পড়ে যায়। এতে পথচারী নারীসহ গাড়ির সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের ঘটনার এমন বর্ণনা দিয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে ৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা হলেন কক্সবাজার পৌরসভার ঘোনার পাড়ার প্রদীপ দের স্ত্রী পূর্ণিমা দে (৩০), তার শিশুপুত্র সার্থক দে (৩), চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বৈরাগীর খিল গ্রামের স্বামী-স্ত্রী রতন বিজয় দে (৫০) ও মধুমিতা দে (৪০), ডুলাহাজারার শংকর রুদ্রের মেয়ে রানী রুদ্র (২৪) এবং ভেন্ডিবাজারের পুকপুকুরিয়া গ্রামের মৃত ইসমাইলের স্ত্রী পথচারী নারী হাজেরা বেগম (৫৫)।

এ ঘটনায় আহতরা হলেন নিহত পূর্ণিমা দের স্বামী প্রদীপ দে (৪৫) ও তাদের শিশুকন্যা শ্যামলী (৫); মানিকগঞ্জের বাবর আলী (১৮) ও অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, রোববার (১৫ আগস্ট) কক্সবাজার ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী নোয়া (ভক্সি) গাড়িটি ফাঁসিয়াখালী ভেন্ডিবাজারে অবস্থিত এটিএন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারের কাছে পৌঁছালে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান। এ সময় গাড়িটি সড়কের পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে সজোরে ধাক্কা খেয়ে পুকুরের পানিতে পড়ে ডুবে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে আরও দুজন মারা যান।

চকরিয়া হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. রিয়াসাদ আজিম সিদ্দীকি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনের মরদেহ আনা হয়েছে। হাসপাতালে আনার পরও আরও দুই শিশুর মৃত্যু হয়। আহত আরও কয়েকজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের আরও বলেন, এখন পর্যন্ত একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অজ্ঞাতনামা পরিচয়ের লাশটি হাইওয়ে পুলিশের কাছে রয়েছে। বাকি মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by