প্রতিনিধি ৯ অক্টোবর ২০২১ , ৬:১৯:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ
পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি:
চলছে ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা (অবরোধ)। ফলে জেলেদের ইলিশ শিকার বন্ধ। বাজারে মাছ না থাকার কারণে বেড়েছে হাঁস-মুরগী সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস-পত্রের দাম।
বরগুনার পাথরঘাটায় প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ মাছ শিকার করে জীবন-জীবিকা চালায়। এখানকার জেলেদের মাছ শিকার করা সারা বিকল্প কোনো কাজ নেই। মাছ শিকার করাই তাঁদের একমাত্র পেশা।
ইলিশ ধরা, পরিবহন ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা চলায় উপজেলার জেলেরা এখন জালের রশি বদলানো, ছেঁড়া জাল মেরামত ও মাছ ধরার নৌকা-ট্রলার সংস্কার করে সময় পার করছেন। আয়ের উৎস বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন জেলেরা। বাজারে জিনিস-পত্র ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় এসব বেকার জেলের মধ্যেও হতাশা লক্ষ করা গেছে।
পাথরঘাটা বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, শিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় মালামালের মূল্যবৃদ্ধির পাশাপাশি বয়লার মুরগী ১৭০ টাকা, সোনালি মুরগী ২৮০ টাকা, দেশি মুরগী ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া হাঁস ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। মালামালের দাম বাড়ার কারণে তা নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বলে জানান ক্রেতারা।
জেলে সাইকুল ইসলাম জানান, নদীতে ২২ দিন মাছ ধরা নিষেধ। এখন বাজারে এসে দেখি সবকিছুর দাম খুব বেশি।
পাথরঘাটা বাজারে প্রবীণ মুরগীর ব্যবসায়ী আবদুল হাই জানান, বাজারে মাছ না থাকার কারণে মুরগির চাহিদা বেড়েছে। পর্যাপ্ত মুরগির না থাকায় দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে শিগগিরই মুরগীর দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মোহাম্মদ আল-মুজাহিদ ভোরের দর্পনকে জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার যাতে ঊর্ধ্বমুখী না হয়, সে জন্য বাজার প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। তার পরেও উত্তরাঞ্চল বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় কাঁচামালের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।