রংপুর

চার দশকেও ব্রিজ হয়নি ধুম নদীর ওপর

  প্রতিনিধি ১৯ অক্টোবর ২০২০ , ৫:১৭:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

মোকছেদ আলী, কাউনিয়া (রংপুর): কাউনিয়ার হারাগাছে ধুম নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো। স্বাধীনতার চার দশক পেরিয়ে গেলেও এখানে স্থায়ী ব্রিজ হয়নি। পাকা ব্রিজ না থাকায় পৌরবাসী ও সারাই ইউনিয়নের অর্ধলক্ষাধিক মানুষকে নড়বড়ে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, উপজেলার হারাগাছ পৌরসভায় ৭ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ধুম নদীতে উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৬শ ফুট দৈর্ঘ্য, ৪ ফুট প্রস্থের তৈরি বৃহৎ নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে মেনাজ বাজার, উত্তর ধুমেরকুটি, বাংলাবাজার, মাছুয়াটারী ও সারাই ইউনিয়নের ধুমেরকুটি, ভিতরকুটি, বালাপাড়া, মাছহাড়ী গ্রামে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। গোটা বছর ধুম নদীতে পানি থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ সরু বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় এলাকার মানুষকে। সাঁকোর উভয় পাশে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং হাট-বাজার থাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ এই সাঁকোর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। সাঁকোর ওপর দিয়ে পায়ে হেঁটে চলাচল ছাড়া, রিক্সা-ভ্যান ও কোনো মটরযান চলাচল করতে পারে না। ধুম নদীর হারাগাছ পাড়ে ধুমেরকুটি ও ইসলামীয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধুমেরকুটি মাদ্রাসা, আলেফ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নদীর দুপাড়ে প্রায় আড়াই হাজার ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে। এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী নদীর ওপার থেকে আসে। বর্ষাকালে নদীতে পানি বেশি হলে সরু বাঁশের সাঁকোর ওপর দিয়ে অনেক অভিভাবক ছোট ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পায়।
ধুমেরকুটি গ্রামের বৃদ্ধ কৃষক মজিবর রহমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে ধুম নদীর উপর ব্রিজ নির্মিত না হওয়ায় এ অঞ্চলের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, আর লাভবান হচ্ছে একশ্রেণির ফড়িয়া পাইকার। সমাজকর্মী মো. কামরুজ্জমান জানান, ধুম নদীতে সেতুর অভাবে প্রায় তিনযুগ পূর্বে দুই পাড়ের লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে চাঁদা উঠিয়ে বাঁশ ক্রয় করে সাঁকো তৈরি করলেও সংস্কারের অভাবে সাঁকোটি ভেঙে পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বর্তমানে সাঁকো নড়বড়ে হয়ে পড়ায় এলাকার মানুষ পারাপার হতে গিয়ে কোন না কোন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। কাউনিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, ধুম নদীর ওপর স্থায়ী ব্রিজের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে কাগজ পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় দ্রæত কাজ শুরু হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by