বাংলাদেশ

জনগণের সাথে মশকারা করবেন না: রুমিন ফারহানা

  প্রতিনিধি ২ মার্চ ২০২২ , ৬:২৬:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি বলেছেন, সংসদে আমি বলেছিলাম দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাজারে আগুন। চলমান ভয়াবহ করোনা প্রভাবে অনেক মানুষ চাকরি হারিয়েছে, অনেক মানুষ বেকার হয়েছে, অনেকেই পেশা পরিবর্তন করতে বাধ্য হচ্ছে। আজ তাদের ঘরে চাল নেই, তারা ঘরের ভাড়া দিতে পারে না। সংসার চালতে হিমশিম খাচ্ছে। আর আপনি তাদের সাথে মশকরা করে বলছেন, দেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্নআয়ের মানুষে পেটে ভাত নেই, অথচ দেশ নাকি উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে। এটা জনগণের উন্নয়ন না সরকারী দলের নেতাকর্মীদের পকেটের উন্নয়ন হচ্ছে।

বুধবার (২ মার্চ) দুপুরে জামালপুর জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে এসব কথা বলেন।

রুমিন ফারহানা বলেন, আজকে সাড়ে ৫ কোটি থেকে ৬ কোটি মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে চলে গেছে এই করোনায়। আরো কত মানুষ কাজ হারিয়েছে। বহু মানুষ চিরতরে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে, এই সরকারের কাছে কোন হিসাব নাই। সরকার বলে মাথাপিছু আয় নাকি বেড়ে গেছে, আরে মাথাপিছু আয় করে বলে সরকারের সাথে সাধারণ মানুষের আয় যখন যুক্ত হয় তখনো মাথাপিছু আয় বেশিই মনে হবে। এটা তো মাথাপিছু আয় না, এটা হলো লুটেরা সরকারের বানানো আয়। আজ সাধারণ মানুষের অবস্থা দিনের পর দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। এদিকে সরকারের কোনো নজর নেই।

রুমিন ফারহানা বলেন, যখন আমরা ছিলাম ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল তখন চালের দাম ১৭ থেকে ২০টাকা কেজি, আর এখন সেই চালের দাম বাড়িয়েছে ৭০ টাকা কেজিতে। ৭০ টাকা কেজি চাল প্রধানমন্ত্রী আপনি কিনে খেতে পারেন আমরাতো পারি না, সাধারণ মানুষ কিনে খেতে পারে না। আমাদের সময় পেঁয়াজের দাম ছিল ৮ টাকা কেজিতে, এখন সেই পেঁয়াজের দাম হয়েছে ৫৫ টাকা, সেই পেঁয়াজ দিয়ে আপনার বাসায় রান্না হয়। আপনি মশকারা করে বলতে পারেন রান্নায় পেঁয়াজ খাওয়া কমাইয়া দেন, জনগণের সাথে মশকারা করবেন না। পরিষ্কার করে বলতে চাই জনগণের সাথে মশকারা করার মাশুল কিন্তু অনেক চড়া। আপনারা দেখেছেন জনগণের সাথে মশকারা করার ফলে ২১ বছর রাস্তায় রাস্তায় ঘুরেছেন ক্ষমতায় আসতে পারেন নাই। ক্ষমতা ছেড়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে ৪২ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না।

জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুনের সঞ্চালনায় আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- বিএনপির  ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি খন্দকার মাকসুদ আলম ও কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ,  জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সফিউর রহমান সফি, অ্যাডভোকেট মনজুর কাদের বাবুল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম খান সজিব প্রমুখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপিসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by