ঢাকা

দি‌নে ১৮০ কে‌জি খাবার খায় শের খান

  প্রতিনিধি ৪ জুলাই ২০২১ , ৫:২৭:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের রনছ গাজী বাড়ি এলাকার খামাড়ি সোহান গাজির খামারেই বেড়ে উঠেছে শের খান। কোরবানির ঈদ সামনে রেখে তিনি একে বিক্রি করতে চান। আর তাতেই ষাঁড়টি সবার নজরে এসেছে। ৮৫০ কেজি (২১ মণের বেশি) ওজনের ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন কৌতূহলী মানুষের ভিড় জমছে।

পরম মমতায় লালনপালন করা হচ্ছে শের খানকে। বর্তমানে এর ওজন ২১ মণ। প্রতিদিন গড়ে ১৮০ কেজি খাবার খাওয়াতে হয় শের খানকে। তবে এ পর্যন্ত ষাঁড়টির হয়নি কোনো রোগবালাই, খাওয়াতে হয়নি মোটাতাজাকরণ ওষুধও।

 

খামারি মো. সোহান গাজী বলেন, ঘন কালো ও সাদা সুঠাম দেহের অধিকারী ষাঁড়টির নাম তিনি দিয়েছেন শের খান। তার মধ্যে হালকা রাগ আছে। খামারের সবার সঙ্গে তার ভাবও আছে। গায়ে হাত বুলিয়ে তাকে আদর করলেও বিরক্ত হয় না সে। সব সময় খোশমেজাজে থাকে।

প্রায় চার বছর আগে মুন্সিগঞ্জ শহরের রনছ রুহিতপুর উচ্চবিদ্যালয়-সংলগ্ন গাজী ডেইরি ফার্ম গড়ে তুলি। সব সময় ভালো জাতের গরু-গাভি পালনের চেষ্টা করছি। সেই ইচ্ছা থেকেই আমি গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ফ্রিজিয়ান জাতের এই ষাঁড়টি কুষ্টিয়া জেলা থেকে কিনে লালনপালন শুরু করি। কেনার সময় ষাঁড়টির ওজন ছিল ৯ মণ।

কী কী খাওয়াতে হয় প্রশ্নে তিনি বলেন, শুরু থেকেই আমি তাকে খেসারি ভুসি, ভুট্টা ফাঁকি, খৈল, গমের ভুসি ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানো শুরু করি। এতে তার খাওয়ার রুচি বেড়ে যায়। বয়স ও ওজন হিসাব করে তাকে খাওয়াতে থাকি। বর্তমানে ষাঁড়টি প্রতিদিন পানিসহ ১৮০ কেজি খাবার খায়। এ পর্যন্ত ষাঁড়টির কখনোই কোনো রোগবালাই হয়নি। মোটাতাজাকরণের জন্য বিন্দুমাত্র ওষুধও খাওয়ানো হয়নি।

শের খান লম্বায় ৮ ফুট, উচ্চতা সাড়ে ৫ ফুট, ওজন ৮৫০ কেজি। পরিচর্যা করলে ষাঁড়টির ওজন হাজার কেজি পর্যন্ত হবে বলে জানান শেরের মালিক। এ জাতীয় ষাঁড় সর্বোচ্চ ১০ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত বাঁচে। এখন ষাঁড়টির বয়স মাত্র তিন বছর।

তবে শের খানকে পালতে গিয়ে আবেগে জড়িয়ে যান সোহান। তিনি বলেন, ষাঁড়টি (শের খান) তার পরিবারের একজন প্রিয় সদস্য হয়ে গেছে। তবু প্রয়োজনে তিনি ষাঁড়টি বিক্রি করে দিতে চান। কদর বোঝেন, এমন শৌখিন কোনো লোক ষাঁড়টি কিনলে তিনি সবচেয়ে খুশি হবেন। উপযুক্ত দাম পেলেই তিনি বিক্রি করবেন ষাঁড়টি।

নামকরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শেরের মতো তার হাঁকডাক, ষাঁড়টি দেখতে তেমনই। তাই শখ করে তিনি ষাঁড়টির নাম দিয়েছেন শের খান। আরও জানান, তার গাজী ডেইরি ফার্মে শের খান ছাড়াও ১৩টি ষাঁড় রয়েছে। তা ছাড়া ছাগল ও ভেড়া পালন করেন সোহান।

শের খানকে দেখভাল করার দায়িত্বে থাকা আকাশ বলেন, ষাঁড়টি এবারের কোরবানির ঈদ সামনে রেখে বিক্রির কথা হচ্ছে। এটা শোনার পর থেকে আমার খুব খারাপও লাগছে। ফার্মের অনেক সময় কাটে শের খানের সঙ্গে। তাকে প্রতি বেলায় খাবার খাওয়াই, গোসল করাই। তাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখি। আমার সঙ্গে ষাঁড়টি বন্ধুর মতো আচরণ করে। বিক্রি হয়ে গেলেও ষাঁড়টির জন্য খারাপ লাগবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by