নাইক্ষ্যংছড়ি আলী মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠের বেহাল দশা

বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:

#স্থানীয় জনসাধারণ ও অভিভাবকরা মাঠটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।
#সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন।

বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলায় জাতীয় পর্যায়ে রানারআপ হওয়া আলী মিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠটি বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ।

শিশুদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য খেলার মাঠের গুরুত্ব অপরিসীম হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে উদাসীন ভূমিকা পালন করছে। বিকাল নামতেই পুরো এলাকার ছেলে মেয়েরা এবং শিশু কিশোরেরা এই মাঠেই নানা আয়োজনে মেতে উঠে। তবে এই একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম খেলার মাঠটি এখন অবহেলিত।

সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, খুব সুন্দর পরিবেশে,কোলাহল মুক্ত পরিবেশে এই বিদ্যালয়টির অবস্থান। দক্ষ ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষক মন্ডলী দিয়ে পাঠদান চলছে। পরিষ্কার পরিছন্ন পুরো বিদ্যালয়ের আশ পাশ এলাকা ও শ্রেনী কক্ষগুলো। রয়েছে শিশুদের জন্য আলাদা শ্রেনী কক্ষ ও বিনোদনের প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি। তবে একটি দিক দিয়ে অপূরণ রয়েছে। তাহলো একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম খেলার মাঠটি। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে খেলার মাঠটি বেহাল চিত্র ধারন করেছে। স্থানীয় লোকজন ও অভিভাবক র মাঠটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানান।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মংলাক্য মার্মা জানান, বিদ্যালয়ের সব কিছু ঠিক আছে। কিন্তু একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম খেলার মাঠটি নিয়ে সর্বদা দুঃচিন্তায় আছি। অল্প কিছুদিনের মধ্যেই জেলা পর্যায়ে খেলা রয়েছে। কাঁদা পানিতে মাঠটি একাকার হয়ে গেছে। ছাত্র ছাত্রীদের অনুশীলন করানো যাচ্ছেনা।

তিনি আরো বলেন ২০১৩ সালে এই আলী মিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট এ জেলা চ্যাম্পিয়ন, ২০১৪ সালে রানারআপ, ২০১৫ সালে বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, ২০১৬ সালে জাতীয় পর্যায়ে রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেন ।

এবারের খেলায় ও উপজেলা পর্যায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জনের সক্ষম হয়। এবারও তিনি বিদ্যালয়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছেন বলে বলে জানান।

আলী মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র খেলার মাঠটি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা ফেরদাউসের নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার এর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের নিকট খেলার মাঠ সংস্কারের তেমন বরাদ্দ নেই। তারপরও তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানাবেন বলে জানান।

এ বিষয়ে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানি জানান, বর্তমানে আমার হাতে কোন প্রকল্প বরাদ্দ নেই। তারপর ও আমি নিজ উদ্যোগে খেলার উপযোগী করার জন্য কাজ করে যাব।