প্রতিনিধি ২২ ডিসেম্বর ২০২০ , ৩:১০:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
হাবীব মিয়াজী, ফেনী প্রতিনিধি :
জেলা শহর ফেনীর প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা ফেনী। ১৮ টি ওয়ার্ড নিয়ে ফেনী পৌরসভা ভৌগোলিক অবস্থানের দিক দিয়েও অদ্বিতীয়। ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী, মেয়র থাকাকালীন ফেনী পৌরসভার পর্যাপ্ত উন্নয়ন হয়।
মেয়র নিজাম হাজারীর উন্নয়নের মাত্রা এতো বেশী ছিল যে, পৌরবাসী স্বপ্ন ছিল ফেনী পৌরসভা সিটিতে রূপ নিবে। স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিতে মেয়র থাকাকালীন সময়ে নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি নিরলসভাবে কাজ করে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে আসেন।
কিন্তু সীমানা নির্ধারনী মামলায় ফেনী সিটির স্বপ্ন থমকে যায়। বর্তমানে মামলার জট আর নাই। এমতাবস্থায় ফেনী পৌরবাসীর জন্য সিটির স্বপ্ন আর স্বপ্ন থাকবেনা। খুব সহসা ফেনী সিটির মর্যাদা পেয়ে যাবে। ফেনী সিটি কর্পোরেশন গড়ার লক্ষে বর্তমান মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির স্বপ্ন পূরণে পৌরসভাকে সাজিয়েছেন নান্দনিক রূপে।
উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন বিশাল ও ব্যাপক। যথাঃ
ড্রেনেজ ব্যবস্থা: বর্ষাকালে সামান্য বৃষ্টিতে ফেনী পৌরসভা পানিতে তলিয়ে যেতো। মেয়র হাজী আলাউদ্দিন এই ব্যাপারটিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে ড্রেনেজ ব্যবস্থার সংকট দূর করেছেন। বর্তমানে বৃষ্টির পানিতে ফেনীর রাস্তা- ঘাটে পানি জমতে দেখা যায়না। মেয়র হাজী আলাউদ্দিন বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নে মেগা প্রকল্প সম্পন্ন। ইনশাআলাহ আগামী ৪০ বছরেও পৌরবাসী রাস্তায় পানি দেখবেনা।
পরিচ্ছন্নতা: পৌরবাসীর সারাদিনের জমে থাকা ময়লা আবর্জনা সন্ধ্যা কিংবা রাতে ডাস্টবিনে ফেলে। দিনের বেলায়ও বজ্র ফেলতে দেখা যায়। পৌরসভা কিংবা সিটি কর্পোরেশনের নিয়মানুযায়ী প্রতিটি পাড়া-মহল্লার নির্দিষ্ট জায়গায় ডাস্টবিন বিদ্যমান। ফেনী পৌরসভাও এর ব্যতিক্রম নয়। পৌর কর্তৃপক্ষ ভোর হওয়ার আগেই এসব ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে ডাম্পিং স্পর্টে নিয়ে যায়। দেশের বহু পৌরসভায় নির্দিষ্ট সময় ময়লা অপসারণ করতে দেখা যায়না। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অভিযোগের অন্ত নাই। কিন্তু ফেনী পৌরসভা এর ব্যতিক্রম। এখানে কোন পথচারীকে নাক-মুখ ঢেকে চলতে হয়না। ময়লার গন্ধ নাকে লাগেনা। কেননা ভোর হওয়ার আগেই ফেনী পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ডাস্টবিনের ময়লা অপসারন করে গন্তব্যে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, সকাল হওয়ার আগেই ফুটপাত, সড়ক ও গলিপথ ঝাড়ু দিয়ে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে ফেনী পৌরসভা নাগরিকদের পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দিয়েছে।
এব্যাপারে পরিচ্ছন্ন ইন্সপেক্টর বলেন, মেয়র হাজী আলাউদ্দিনের কড়া নির্দেশনা রয়েছে, ভোর হওয়ার আগেই ময়লা অপসারণের। প্রায়ই সময় মধ্যরাতে ও ভোরে মেয়র হাজী আলাউদ্দিন পরিচ্ছন্ন কর্মীদের কাজ তদারকি করতে চলে আসেন। ফলে কেউ আর ফাঁকি দিতে পারেনা। এজন্য নগরবাসী পরিচ্ছন্ন শহর পেয়েছে।
সড়ক বাতি: যেকোন সিটি কর্পোরেশন কিংবা পৌরসভা নাগরিক সুবিধার জন্য রাতের অংশে সড়ক ও গলিপথে সড়ক বাতি দিয়ে থাকে। কথায় বলে রাতে শহর ঘুমালেও পাহারা দেয় সড়ক বাতি। ফেনী পৌরসভার প্রতিটি গলিতে দ্বেদ্বীপ্যমান শিখার মত জ্বলছে সড়ক বাতি। কোন এলাকার কোন বাতি না জ্বললে অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে সেখানে বাতি লাগিয়ে দেওয়া হয়। যা অন্য কোন পৌরসভায় এমনটি দেখা যায়না।
সড়কে ডিভাইডার স্থাপন: ফেনী শহরে যান চলাচল নির্বিগ্ন করতে ও সড়ক দূর্ঘটনা এড়াতে মেয়র থাকাকালীন নিজাম হাজারী এমপি রোড ডিভাইডার শুরু করেন। বর্তমান মেয়র হাজী আলাউদ্দিনও সে ধারাবাহিকতা রক্ষা করে চলেছেন। এতে পথচারী ও নগরবাসী দারুণভাবে সুফল পাচ্ছেন।
সড়কে সবুজ বনানী: সিটি কর্পোরেশনের আদলে ফেনী শহরে রোড ডিভাইডারের মাঝে সবুজ বনানী এখন যেকোন পথচারী ও নগরবাসীকে বিমোহিত করে। শহরের মাঝে সবুজের সমারোহ হাজী আলাউদ্দিনের উন্নত রুচির পরিচায়ক।