চট্টগ্রাম

নারী শিক্ষার উন্নয়নে এইউডব্লিউ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

  প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৫:৩৭:২৭ প্রিন্ট সংস্করণ

নারী শিক্ষার উন্নয়নে এইউডব্লিউ অগ্রণী ভূমিকা রাখছে : সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

যখন আফগানিস্তানের নারীশিক্ষার সুযোগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিলো ঠিক তখনি ‘এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন’ (এ ইউ ডব্লিউ) চট্টগ্রাম সেই নারীদের জন্য শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছিল। এ ইউ ডব্লিউ বিশ্বের নারীদের জন্য মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

আজ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এ ইউ ডব্লিউ) চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসনে প্রথমবারের মতো মাস্টার অফ আর্টস ইন এডুকেশন এর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ড. দীপু মনি এসব কথা বলেন। ড. দীপু মনি বলেন, উন্নত বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যাদের কাছে কোন বস্তুগত উত্তরাধিকার নেই, তেল কিংবা খনিজ সম্পদও নেই, শুধুমাত্র শরীর এবং মন তাদের নিরাপদ জীবন গড়তে অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

সুতরাং বর্তমানে শিক্ষাই আমাদের বড় আশা এবং সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এটি অর্জন এত সহজ নয়। এর জন্য প্রয়োজন কঠোর অধ্যবসায় ও ভালো প্রতিভা। এক্ষেত্রে নারীশিক্ষা বিকাশে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন (এ ইউ ডব্লিউ) প্রতিষ্ঠিত “মাস্টার অফ আর্টস ইন এডুকেশন” প্রোগ্রামটির ভূমিকা সত্যিই অতুলনীয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে গ্র্যাজুয়েশন স্পিকার হিসেব দায়িত্ব পালন করেন আমেরিকার জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এডুকেশনের ডিন ও অধ্যাপক ক্রিস্টোফার মরফিউ।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল নাসের চৌধুরী, ব্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ এবং আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট স্কুল অফ এডুকেশনের ইদান প্রাইজ ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর অফ পার্টনারশিপস এবং সোশ্যাল ইন্টারপ্রেনার ইন রেসিডেন্স ড. ক্রিস্টোফার থমাস অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে আফগানিস্তানে সংকটের তাৎক্ষণিক উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত এ ইউ ডব্লিউ এর মাস্টার্স অফ আর্টস ইন এডুকেশন প্রোগ্রামটি শিক্ষাগত অগ্রগতির জন্য আশা এবং সুযোগের আলোকবর্তিকা হিসেবে বিকশিত হয়েছে। যারা এই মাইলফলকে র্পৌছানোর জন্য অসংখ্য বাধা অতিক্রম করেছে এ ইউ ডব্লিউ তাদের নিষ্ঠা এবং অধ্যবসায়কে স্বীকৃতি জানিয়েছে।

মাস্টার অফ আর্টস ইন এডুকেশন এর প্রথম ব্যাচ ২১ জন গ্র্যাজুয়েটের হাতে সনদ তুলে দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ১৯ জন আফগান এবং ২ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এ কৃতিত্ব অর্জন করে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by