দেশজুড়ে

সীতাকুণ্ডে সরকারী খাল ভরাট করে ভবন নির্মাণ, ভোগান্তিতে কয়েক গ্রামের মানুষ

  প্রতিনিধি ২৪ মে ২০২১ , ৭:১৬:১৯ প্রিন্ট সংস্করণ

কামরুল ইসলাম দুলু, সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম)

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলায় কয়ক’শ বছরের পুরানা সরকারী একটি খাল ভরাট করে ভবণ নির্মাণ করছে প্রভাবশালী মহল। খালের মধ্য দেওয়া হয়েছে দীর্ঘ উঁচু পাকা দেয়ালও। উপজলার ৮নং সােনাইছড়ি ইউনিয়নের মদনহাটস্থ ‘মদনখাল’ ভরাট ও দখলের এই মহাৎসব চলছে।
খাল ভরাটের ফলে খালের পানি প্রবাহের গতিপথও পরিবর্তন হচ্ছে। এত করে পরিবেশের ক্ষতিসহ ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এছাড়া প্রবল বর্ষণে পুরো গ্রাম পানিতে ডুববে বলে জানান স্থানীয়রা। ৮নং সোনাইছড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ জানিয়েছেন লকডাউনের সুযাগ নিয়ে খাল ভরাটের মতো জঘণ্য কাজ করছে। খাল ভরাটের কারণে পরিবেশের চরম ক্ষতি হতে পারে বলে জানান তিনি।

মদনহাট এলাকায় সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনাইছড়ি কাসেম জুট মিলস সংলগ্ন পাহাড় থেকে নেমে এসেছে একটি খাল। কয়েকশ বছরের পুরানা প্রায় ৪-৫ কিলামিটার দীর্ঘ এই খাল। আর এ খালের পানি পড়ে বঙ্গাপসাগরে গিয়ে। খালের আশ পাশে রয়েছে শত শত বসতবাড়ি ও শিল্প কারখানা। এব্যাপারে কথা হয় খাল ভরাট করে ভবণ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের মালিক খোরশদ আলমের সাথে, তিনি বলেন, এখানে অনেক আগে থেকে স্ক্র্যাপ জাহাজের পাইবারের তৈরী স্পিড বোডগুলা রিফারিং এর কাজ করা হয়।

খালের মধ্যে নির্মাণ করা ভবন স্পিড বোড রিফারিং এর কাজ করা হবে। বৃহৎ পরিসরে কাজ করার জন্য খালের অংশ বিশষ এই ভবণ নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি তাদের নিজস্ব সম্পত্তি বলে দাবি করেন তিনি। এব্যাপারে স্থানীয় বাসিদা সুলতান আহমেদ ও আলাউদ্দিন বলেন, খালটি আরএস ও বিএস রেকর্ডভূক্ত কয়েকশ বছরের পুরানো। স্ক্র্যাপ জাহাজের পুরানো স্পিড বোডগুলা এখানে কেটে তা আবার বানানা হয়। আর স্পীড বোডগুলো পাইবারে তৈরীর কারণে অনেক সময় তা রিপারিং করতে বড় জায়গা লাগে সে জন্যে খাল ভরাট করে স্থায়ী ভবণ নির্মাণ করা হচ্ছে।

তারা আরও বলেন, আমরা খাল ভরাট বন্ধের জন্য বললে তারা আমাদের নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমেদ বলেন, খাল ভরাট করার কোন সুযোগ নাই। কয়েকজন ব্যক্তি মদনখাল ভরাট করে ভবণ নির্মাণ করছে বলে শুনেছি। লকডাউনের সুযোগ নিয়ে তারা এই কাজ করছে। ঘটনাস্থলে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য বাবলু বলেন, ভবণ নির্মাণর ফলে খালের প্রবাহমান গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে।

ফলে খাল ভাঙনের ফলে ওই এলাকায় বসবাসকারী অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানানা হয়েছে। সীতাকুন্ড উপজলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন রায় বলনে, এ বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে আর সরকারী খাল দখল বা ভরাট করার কোন নিয়ম নেই।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by