খুলনা

পাইকগাছায় আমনের বাম্পার ফলন

  প্রতিনিধি ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৫:৩০:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

পাইকগাছায় আমনের বাম্পার ফলন

খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় উৎসবমুখর পরিবেশে আমন ধান কাটা-মাড়াই শুরু করেছেন কৃষকরা। পাইকগাছা এলাকায় আবাদি জমিগুলোতে এখন সোনালি ধানের ঝিলিক। বাতাসেও বইছে আমপনের সুঘ্রান। কৃষকের মুখে ফুটেছে ফসলের হাসি। পাইকগাছা এলাকার মানুষের কাছে আশ্বিন ও কার্তিক মাসকে অভাবের মাস বলা হয়।

অভাবের দুই মাস পেরিয়ে এখন অগ্রহায়ণ মাস চলছে। ধানও বাড়িতে উঠতে শুরু করেছে। ওনা বৃষ্টি নানান পোকার আক্রমণ আর নানা বাধা পেরিয়ে আমন ধানের বাম্পার ফলন আশা করছেন এখানকার স্থানীয় কৃষকরা। সোনালী ফসল কাটার মহোৎসবে ব্যস্ততম সময় কাটাবেন এখানকার কৃষকরা। খুব সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে সোনালী স্বপ্ন ঘরে তোলা সংগ্রাম। পাইকগাছা গ্রামীন অর্থনীতিতে আমন ধান নির্ভর অর্থনীতির সুবাতাস বইছে। কৃষক এবং কৃষি কাজের সাথে সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক শ্রমিক ধান কাটা, বাছা, গোছানো এবং মাড়াই করার কাজে নিয়োজিত। উৎপাদনের ঘাটতি নেই, বলা চলে।

এবার পাইকগাছা আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে, কিন্তু ধানের দাম কিছুটা কম এমন হতাশা ময় কথা বললেন উওর গড়ের আবাদ কৃষক আবুল কাশেম সরদার । তিনি জানান ধান কাটা শুরু করছি, আল্লাহর রহমতে ধান ভালোই দেখা যাচ্ছে। ধানের দাম ও শ্রমিকের দাম ন্যায্য থাকলে আমাদের জন্য ভালো হয়।

চাঁদখালী ইউপি চেয়ারম্যান সাহজাদা মোঃআবু ইলিয়াস বলেন, আমি সরেজমিনে দেখেছি ইউনিয়নে সকল মৌজায় আমন ধান খুবই ভালো হয়েছে, তবে ইতি পূর্বে জলবদ্ধতা থাকা কারনে ফসল ভালো হয়নি,এ মৌসুমে জলবদ্ধতা নিরশনে উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার ইকবাল মন্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মাদ আল আমিন,ভাইস চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন ফিরোজ বুলু সহযোগিতা করার কারনে আমন ধান ফসল ভালো হয়েছে।

কৃষি অফিস থেকে কৃষক কে পরামর্শ, এবং সরকারি সহযোগিতা পেলে, আমন ধানের পর গরমের ধান লাগানো উদ্বব্ধো হবে । পাইকগাছা উপজেলার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এবার পাইকগাছা উপজেলায় আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ১৭ হাজার ৪২০ হেক্টর। কৃষি অফিসার অসিম কুমার দাস জন বলেন লক্ষ্যমাত্রা চেয়ে আমরা অনেক বেশি অর্জন করেছি। পাইকগাছা আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে ।

এই বাম্পার ফলনের জন্য কৃষকদেরকে উৎসাহিত করা হয়েছে। ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে। লবণাক্ত সহিংস জাতগুলি তাদেরকে অনুপ্রাণিত করা হয়েছে এবং চাষ করানো হয়েছে। পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহযোগিতা ও ধান গবেষণাগার তারা অনেকগুলা জাত নিয়ে আসছিল। যার ফলে সবকিছু মিলে সকলের সহযোগিতায় আমন ধানের বাম্পার ফলন সম্ভব হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by