শিক্ষা

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা পাবে যেভাবে

  প্রতিনিধি ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ , ৭:১৯:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

বিনামূল্যে বইয়ের পর এবার প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য জামা, জুতা ও ব্যাগ কিনতে টাকা দিচ্ছে সরকার। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এক হাজার টাকা করে পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে উপহারের এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা ডাক বিভাগের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘নগদ’-এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনে পাঠিয়ে দেয়ার পর এই কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি জানান, করোনার কারণে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খোলার সঙ্গে সঙ্গে নগদ-এর মাধ্যমে এই টাকা তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।

চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রায় সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীকে সরকার বিনা মূল্যে বই দিয়েছে। এই হিসাবে জামা, জুতা, ব্যাগ কিনতে সরকার দেবে সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার মতো। এই অনুষ্ঠান থেকেই মোবাইল ফিনান্সিয়াল পদ্ধতিতে দেশের আট উপজেলায় ৮৬ হাজার ৪৫২ জন শিক্ষার্থীকে তিন কোটি ৬৪ লাখ ৫ হাজার ২২৫ টাকা উপবৃত্তির টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। পর্যায়ক্রমে অন্য সব জেলা ও উপজেলার শিক্ষার্থীদের কাছেও একই পদ্ধতিতে মোবাইল ফোনে উপবৃত্তির টাকা পাঠনো হবে।

২০১৬-১৭ অর্থবছর থেকে মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মা অথবা সুবিধাভোগীদের মোবাইল একাউন্টে উপবৃত্তির টাকা পাঠানো শুরু করে সরকার। সেখানে কিছু জায়গায় দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছিলো। এই সংকট সমাধানে গেলো বছরের ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ডাক বিভাগের ডিজিটাল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার ‘নগদ’-এর সঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাথে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ চুক্তির মাধ্যমে এর পোর্টালে শিক্ষার্থীদের জন্মনিবন্ধন নম্বর এন্ট্রি করা, সকল মা বা অভিভাবকগণের জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর যাচাই করে স্বচ্ছতার সাথে অর্থ বিতরণ করা।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক স্তরে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণে স্বচ্ছতা আনা ও দুর্নীতি কমাতে এখন থেকে ডিজিটাল ফাইন্যান্সিং সার্ভিস নগদকে বেছে নিয়েছে সরকার।প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য মাসিক ১৫০ টাকা হারে তিন মাসের ৪৫০ টাকা পাঠানো হয়েছে।’

তিনি বলেন, উপবৃত্তির মাধ্যমে বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশে উন্নীত করা, প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাসের হার প্রায় ৯৬ শতাংশ অতিক্রম করা, ঝরে পড়ার হার ১৭ দশমিক ৯০ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে।

সোমবার ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ৭৯টি বিদ্যালয়ে আট হাজার ৯৩০ এবং মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় ৭৬টি বিদ্যালয়ে ১১ হাজার ১০৫ জন ও শ্রীনগর উপজেলার ১১২টি বিদ্যালয়ে ১৫ হাজার ৯৫৪ জন সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীকে এই অর্থ দেয়া হয়।

চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার লালমাই উপজেলার ৬৮ বিদ্যালয়ের ৮ হাজার ৯৬১ জন ও মেঘনা উপজেলার ৬৫টি বিদ্যালয়ের ছয় হাজার ২৮৯ জন শিক্ষার্থী এবং খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ৭৭টি বিদ্যালয়ের চার হাজার ৫৫০জন ও বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার ১৫টি বিদ্যালয়ের এক হাজার ২৯৭ শিক্ষার্থীও পেয়েছে উপবৃত্তির টাকা।

রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ১৬৩টি বিদ্যালয়ের ১৭ হাজার ৪১ জন শিক্ষার্থীর কাছেও পাঠানো হয়েছে এই অর্থ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by