ঢাকা

বারি উদ্ভাবিত বারি হাইব্রীড টমেটোর উৎপাদন প্রযুক্তির উপর মাঠ দিবস

  প্রতিনিধি ১৭ নভেম্বর ২০২২ , ৭:৫৮:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

গাজীপুর প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কুষ্টিয়া এর আয়োজনে বারি উদ্ভাবিত বারি হাইব্রীড টমেটো-৮ ও বারি হাইব্রীড টমেটো-১১ এর উৎপাদন প্রযুক্তির উপর মাঠ দিবস গতকাল বুধবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়া পাড়া গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন ও কমিউনিটি বেস্ড পাইলট প্রোডাকশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচীর অর্থায়নে এ মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ মাঠ দিবসের উদ্বোধন করেন। বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর এর মহাপরিচালক মো. বেনজীর আলম, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর, বারি’র পরিচালক (ডাল গবেষণা কেন্দ্র) ড. মো. মহি উদ্দিন এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুষ্টিয়ার উপ-পরিচালক ড. হায়াত মাহমুদ। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বারি’র সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, গাজীপুরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাজহারুল আনোয়ার। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারি’র সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, গাজীপুরের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ‘বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালীন টমেটোর অভিযোজন পরীক্ষা, উৎপাদন ও কমিউনিটি বেস্ড পাইলট প্রোডাকশন প্রোগ্রাম’ শীর্ষক কর্মসূচীর পরিচালক ড. মো. ফারুক হোসেন এবং অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কুষ্টিয়া এর ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জাহান আল মাহমুদ। মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক কৃষক অংশগ্রহণ করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় কৃষি সচিব জনাব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, আমরা গতানুগতিক কৃষিকে বাণিজ্যিক কৃষিতে রূপান্তর করতে চাই। কৃষি হবে লাভজনক পেশা। আর এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানীরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তারা নতুন নতুন জাত আবিষ্কার করছে যেগুলো শুধু এক মৌসুমে না, সারা বছরই চাষ করা যায়। আপনারা জানেন, অমৌসুমে ফসলের দাম বেশি পাওয়া যায়। বারি উদ্ভাবিত গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড টমেটোর জাত ৮ ও ১১ এরকমই দুটি জাত। এই দুটি জাত চাষ করে কৃষক অনেক বেশি লাভবান হচ্ছে। আশা করি আপনাদের মাধ্যমে এ দুটি জাতের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বলা হচ্ছে আগামী বছর পৃথিবীতে দুর্ভিক্ষ হবে। তবে আশা করি বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। বরং আমরা অধিক ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে পৃথিবীর অন্যান্য দুর্ভিক্ষ পীড়িত দেশগুলোকে সাহায্য করতে চাই। অধিক কৃষি পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে আমাদের দেশের কৃষিকে আরও লাভজনক পেশায় রূপান্তর করতে চাই।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by