প্রতিনিধি ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৭:০১:৩৫ প্রিন্ট সংস্করণ
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের বৈরাগীর চরের কারীতলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে মাদক ব্যাবসায়ী তৌসিকুল সর্দ্দার। তিনি নিজের প্রভাব বিস্তার করে এলাকার নিরীহ মানুষদের জমি জোরপূর্বক দখল করে সেখানে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তৌসিকুল বহু দিন ধরে এলাকায় ইয়াবা ব্যাবসা করে আসছে। তার নামে দৌলতপুর থানায় মাদক আইনে দুইটি মামলা আছে। এছাড়াও তৌসিকুল একজন নিরীহ মানুষ ময়েজ সর্দ্দারের ছেলে রুপচাঁদের পুকুরের মাছ জোর-পূর্বক জবর-দখল করে, সেখানে বালু ভরাট করে ব্যাবসা করছে এবং তাকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণনাসের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তৌসিকুল সরকারি জমি দখল করে ড্রেজার দিয়ে নদী থেকে বালু উত্তোলন করছে। যার কারনে এলাকাবাসীর ঘরবাড়ী নদীর মধ্য চলে যেতে শুরু করছে। এলাকাবাসী দিন-রাত আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে প্রভাবশালীরা প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলন করছে। ভুক্তভোগীরা বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও ফল পাচ্ছে না। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবার কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন তৌসিকুল বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি হুমকির মুখে পড়েছে। এতে নদীর তীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। বৈরাগীর চরের কারীতলা গ্রামের কয়েকজন বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে নদীর গভীর থেকে বালু উত্তোলন করছে। আবাদি জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে। এদিকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে গ্রামের শতাধিক মানুষ অভিযোগ করে। ভুক্তভোগীরা জানান, ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হলে ভরা বর্ষায় তাদের বসত ভিটা ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলন হবে। ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে দৌলতপুরের বৈরাগীর চরের কারীতলা ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে। এ বিষয়ে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার সাথে মুঠোফনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হইতে তৌসিকুলকে দু লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং দুজনকে আটক করা হয়েছে। যদি পুনরায় বালু উত্তোলন করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা আইনগত ব্যাবস্থা গ্রহণ করব। আমাদের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলে জানান।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী তৌসিকুল সর্দ্দার বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে ৯৯বছরের লিজ নিয়েছি।