ঢাকা

বালু খেকোদের খপ্পরে ফসলি জমি, অবৈধ ড্রেজারে বালু-মাটি উত্তোলনের ধুম

  প্রতিনিধি ২৭ মার্চ ২০২২ , ৫:৩৮:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ

রতন মাহমুদ (পাংশা, রাজবাড়ী প্রতিনিধি):

রাজবাড়ীর পাংশায় প্রশাসনের নাকের ডগায় চলছে প্রতিনিয়ত পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলনের মহোৎসব। সুবিধাভোগীরা হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব। ‘নিষেধাজ্ঞা জারি- আবারো কৌশলে অনুমতি’ চলছে নানান খেলা। তবুও বন্ধ হচ্ছে না অবৈধভাবে বালু-মাটি উত্তোলন।

প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জ করেই উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের অর্ন্তবর্তী পদ্মা নদী থেকে দিনভর অবৈধভাবে ড্রেজারে বালু-মাটি উত্তোলন করে বিক্রির ধুম পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সমন্বয় কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা হলেও যথাযথ ফলপ্রসূ হয়নি।

উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বারংবার বালু-মাটি খেকোদের বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা দিলেও এখনো বন্ধ হয়নি বালু -মাটি উত্তলন। প্রশাসনকে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ করেই অদৃশ্য শক্তির ছত্রছায়ায় বালু-মাটি কাটা অব্যাহত রয়েছে। বালু-মাটি কাটার ফলে হুমকির মুখে রয়েছে বেরিবাঁধ ও ফসলি জমি।

উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের চরপাড়া, চরআফরা, স্লুইচগেট সহ ইউনিয়নের বিভিন্ন বেরিবাঁধ এলাকা থেকে ফসলি জমি নিধণ করে ভেকু দিয়ে বালু ও বালু-মাটি উত্তোলন করে ড্রাম ট্রাক এবং বাটাহাম্বার যোগে বিভিন্ন ইট ভাটায় নেওয়া হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তাঘাট, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ। প্রকাশ্যে দিবালোকে এমন কর্মযজ্ঞ চললেও বালু-মাটি খেকোদের কাছে যেন অসহায় প্রশাসন।

ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের আকবর মল্লিক’র ছেলে বালু-মাটি খেকো মোঃ সুরুজ মল্লিক’র কাছে ফসলি জমি থেকে বালু-মাটি কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।

জানা যায়, সুরুজ মল্লিক ছাড়াও আরও একাধিক বালু-মাটি খেকো দিনে ও রাতে বালু-মাটি কাটায় সক্রিয় রয়েছে।

সচেতন মহল মনে করছেন ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে অবিরত বালু-মাটি কাটা চলতে থাকলে আগামী বর্ষা মৌসুমে কোনভাবেই বেরিবাঁধ রক্ষা করা সম্ভব হবে না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by