দেশজুড়ে

বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড: দগ্ধ আরও দুইজনের মৃত্যু

  প্রতিনিধি ১২ জুন ২০২২ , ৫:৫৫:১৮ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ঢাকা ও চট্টগ্রামে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে ডিপো কর্মী নুরুল কাদেরের (২২) মৃত্যু হয়। এর আগে রোববার ভোরে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ফায়ার ফাইটার গাউসুল আজমের মৃত্যু হয়।

নুরুল কাদের (২২) চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার এ কে এম ফাইজুর রহমান চৌধুরীর ছেলে।

পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এটিএম রেজাউল করিম গণমাধ্যমকে জানান, দুর্ঘটনার পর দগ্ধ নুরুল প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পরে সেখান থেকে তাকে এ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই রোববার দুপুর দেড়টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

সীতাকুণ্ডের ডিপোতে আগুন নেভাতে গিয়ে দগ্ধ হয়ে আট দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ফায়ারম্যান গাউসুল আজম (২৩)। রোববার ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গাউসুল আজম যশোরের মনিরামপুরের খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামের আজগর আলীর ছেলে।

গত ৪ জুন রাতে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ডিপোতে আগুন নেভাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি অগ্নিদগ্ধ হন। তার শরীরের ৭৫ ভাগ পুড়ে যায়। নেওয়া হয় শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে। সেখানে লাইফসাপোর্টে রাখা হয়। ইনস্টিটিউট প্রধান সামন্ত লাল সেনের তত্ত্বাবধায়নে চলতে থাকে চিকিৎসা। অবশেষে সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান গাউসুল আজম।

হাসপাতালে সার্বক্ষণিক সঙ্গে থাকা গাউসুল আজমের ভগ্নিপতি মিজানুর রহমান জানান, অবস্থার অবনতির খবর পেয়ে তিনি ভেতরে যাওয়ার ১০-১৫ সেকেন্ড পর তার শ্যালক মারা যান।

গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা ছড়িয়ে পড়ে। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে প্রথমে ৪১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশ উদ্ধার ও হাসপাতালে মৃত্যু নিয়ে সর্বমোট ৪৯ জনের মৃত্যু হলো। এর মধ্যে ১০ জনই ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by