বরিশাল

বোরো ধানের পোকা দমন ঝালকাঠিতে জনপ্রিয় হচ্ছে পার্চিং পদ্ধতি

  প্রতিনিধি ৭ ডিসেম্বর ২০২০ , ৫:৪৮:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

বোরো ধানের পোকা দমন ঝালকাঠিতে জনপ্রিয় হচ্ছে পার্চিং পদ্ধতি

মো. আতাউর রহমান, ঝালকাঠি : ঝালকাঠিতে বোরো ধানে ক্ষতিকারক পোকা দমনে কৃষকদের কাছে জনপ্রিয়তা হয়ে উঠেছে জৈব কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বা পার্চিং পদ্ধতি। দিন দিন এ পদ্ধতি জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে চাষীরা এ পদ্ধতির দিকে বেশি ঝুকছেন। একদিকে যেমন বিষমুক্ত পদ্ধতিতে পোকা দমন হচ্ছে, অন্যদিকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ এবং লাভবান হচ্ছেন কৃষক। ঝালকাঠি জেলার ৪ উপজেলায় পোকা দমনে কৃষক যখন কীটনাশক ব্যবহারে অতিমাত্রায় ঝুঁকে পড়েছে, তখন পরিবেশ রক্ষা ও কৃষকদের কীটনাশক ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে কৃষি বিভাগের পরামর্শে বোরো ধানের ক্ষেতে চলছে ক্ষতিকারক পোকা দমনে জৈব কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বা পার্চিং পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে কৃষকরাও বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ক্ষেতে গাছের ডাল পুঁতে পাখি বসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এতে পাখি বসে বোরো ধানের ক্ষতিকারক পোকা ও পোকার ডিম খেয়ে ফেলায় কৃষকদের বাড়তি কোনো কীটনাশক ব্যবহার করতে হচ্ছে না। ফলে বোরো উৎপাদনে খরচ কম হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষক। অন্যদিকে রক্ষা পাচ্ছে পরিবেশ। ক্ষেতে ক্ষেতে শোভা পাচ্ছে সহজলভ্য গাছের ডাল।

সদর উপজেলার বাসন্ডা ইউনিয়নের কৃষ্ণকাঠি গ্রামের প্রান্তিক চাষি আবুল হাওলাদার বলেন, আগে আমরা ধানক্ষেতে কীটনাশক ব্যবহার করতাম, এখন কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ক্ষেতে গাছের ডাল বসিয়ে দেই, সেখানে পাখি বসে পোকা খেয়ে ফেলে, তাই কীটনাশক লাগে না। এতে আমাদের খরচও অনেক কম হচ্ছে। ঝালকাঠির উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মনিকা বিশ্বাস বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমরা চাষীদেরকে নিয়মিত পার্চিং ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি। এতে যেমন আর্থিক লাভবান হওয়া যায় তেমনি পরিশ্রমও কম হবে। জেলা কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, কৃষিমন্ত্রী ও কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের ডিজির নির্দেশনায় আমরা জেলায় শতভাগ পার্চিংয়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। পার্চিং হলো একটি জৈবিক বালাই ব্যবস্থা, যাতে ডালপালায় বসে পাখি বিভিন্ন পোকা খেয়ে ফেলে। ফলে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হয় না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by