চট্টগ্রাম

ভাসানচরে যাচ্ছেন আরও ১২০০ রোহিঙ্গা 

  প্রতিনিধি ৩০ জানুয়ারি ২০২২ , ৬:২৭:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্ক:

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে দশম দফায় ১২০০ রোহিঙ্গা নাগরিককে নোয়াখালীর ভাসানচরে নেওয়া হচ্ছে।

রোববার দুপুরে ১৩টি বাসে ৭০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দেন। বাকি ৫০০ জন বিকাল ৫টার দিকে ১১টি বাসে রওনা হন।

উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠ থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে চট্টগ্রামে রওনা দেন এসব রোহিঙ্গা পরিবার।

এর আগে সকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের সপরিবারে উখিয়া ডিগ্রি কলেজ মাঠে নিয়ে আসে।

শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের প্রতিনিধি (সিআইসি) তানবির আহমেদ বলেন, ভাসানচরের উদ্দেশে রোহিঙ্গাদের একটি দল ক্যাম্প ত্যাগ করেছে। মূলত তারা চট্টগ্রামে রাতে পৌঁছবেন। পরের দিন সকালে সেখান ভাসানচরে পৌঁছার কথা রয়েছে। আমরাও সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। এবার ১২০০ রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে আসতে রাজি হয়েছেন।

অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার শামসুদ্দৌজা নয়ন জানান, দুপুরে ৭০০ জন রোহিঙ্গার একটি দল উখিয়া থেকে ভাসানচরের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আর বিকালে ৫০০ জন রওনা হয়েছেন।

এ বিষয়ে ৮-এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরান হোসেন জানান, দশম দফায় শিবিরগুলো থেকে এবার ১২০০ রোহিঙ্গা ভাসানচরে যাওয়ার কথা রয়েছে। দুই দলে মোট ১২০০ জন ইতোমধ্যে ভাসানচরের উদ্দেশে ক্যাম্প ত্যাগ করেছেন।

এদিকে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে নবম দফায় ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে সরকার ভাসানচরে পাঠায়। এছাড়া গত বছর মে মাসে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে সেখানে নিয়ে রাখা হয়।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে এক লাখ রোহিঙ্গা বসবাসের উপযোগী ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। ভাসানচরের পুরো আবাসন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

প্রসঙ্গত মিয়ানমার সেনাবাহিনীর গণহত্যা থেকে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা নাগরিক কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরগুলোতে বসবাস করছেন।

এদের বেশিরভাগই ২০১৭ সালে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংস অভিযানের সময় পালিয়ে এসেছেন। শরণার্থীদের চাপ কমাতে দুই বছর আগে অন্তত ১ লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসানচরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by