চট্টগ্রাম

ভুয়া কাগজে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কাপড় খালাসের চেষ্টা ব্যর্থ

  প্রতিনিধি ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৬:১৯:০৪ প্রিন্ট সংস্করণ

ভুয়া কাগজে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে কাপড় খালাসের চেষ্টা ব্যর্থ

ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ২৮টন কাপড় খালাসের প্রাক্কালে জব্দ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তারা। দুই ট্রাকে এসব কাপড় নিয়ে যাওয়ার সময় একজনকে আটক এবং ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে। জানা যায়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা এলাকার আমদানিকারক নাজমুল হোসিয়ারি প্রাইভেট লিমিটেডের নামে চীন থেকে আসা এ চালানটি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি খালাসের জন্য নথি দাখিল করে আমদানিকারকের প্রতিনিধি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মাহমুদ ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল।

পলিএস্টার ফেব্রিকসের ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে খালাস করে নিয়ে যাওয়ার সময় বন্দর গেটের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে চালানটি জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে যাচাই করে এতে পাওয়া যায় পর্দা ও সোফার কাপড়। যাতে অন্তত ৫০লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছে আমদানিকারক। একই আমদানিকারকের আরও অন্তত ৫টি চালান চট্টগ্রাম ও ঢাকার কমলাপুর আইসিডি দিয়ে খালাসের অপেক্ষায় আছে।

ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির পাঁচ মাস আগের একটি চালান নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তবে ওই চালানটি খালাসে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। বন্দর কর্মকর্তারা জানান, প্রতিষ্ঠানটির সব ধরনের আমদানিতে কাস্টমসের নজরদারিতে থাকায় ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করে মঙ্গলবার রাতে চালানটি খালাসের চেষ্টা করা হচ্ছিল। মাহমুদ ট্রেডের জেটি সরকার পদে কর্মরত রবিউল ইসলাম চালানটি খালাসে কাগজপত্র দাখিল করেছেন বলে কর্মকর্তারা জানান।

চালানটি জব্দ করার পর রবিউল ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। এ সময় বন্দর গেটের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে চালানটি জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় এক ট্রাকচালককে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় বন্দর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান ‘প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আগেও তৈরি পোশাক শিল্পের কাঁচামাল আমদানির নামে বাণিজ্যিক পণ্য আমদানি করার অভিযোগে একাধিক মামলা করেছে কাস্টমস।

ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রতিষ্ঠানটির আমদানিকৃত সব ধরনের পণ্য কায়িক পরীক্ষা নিশ্চিত করে খালাসের নির্দেশনা আছে।’চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপকমিশনার এ কে এম খায়রুল বাসার জানান, একই আমদানিকারকের আরও অন্তত ৫টি চালান চট্টগ্রাম ও ঢাকার কমলাপুর আইসিডি দিয়ে খালাসের অপেক্ষায় আছে।

এ ঘটনায় আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ছাড়াও আর কারা জড়িত ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by