দেশজুড়ে

রংপুর বিভাগে ১৩ লাখ পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত

  প্রতিনিধি ২২ জুন ২০২১ , ৮:৫৫:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

রবিউল ইসলাম দুখু, রংপুর ব্যুরো: পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় খামার ও বাসাবাড়িতে কোরবানিযোগ্য প্রায় ১৩ লাখ পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কোরবানির ঈদের সময় ভারত থেকে গরু আসা বন্ধ হলে এসব গরু ভালো দামে বিক্রি করার সম্ভাবনা রয়েছে। কোরবানি ঈদে গরু ভালো দামে বিক্রির আশায় খামারিরা পুঁজি বিনিয়োগ করে কোরবানির বাজার ধরার জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। ঈদুল আজহা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই খামারি ও কৃষকরা তাদের গরু নিয়ে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছে। বিভাগে কোরবানির পশুর হাট জমে না উঠলেও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বেপারিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পশু অনুযায়ী দরদাম করে আসছেন। সেই সঙ্গে ব্যস্ত সময় পার করছেন এর সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

বিভাগীয় প্রণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে- রংপুর, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, লালমনিহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁ ও পঞ্চগড় জেলায় এবার ঈদে কোরবানির পশুর চাহিদা ১০ লাখের ওপরে।

সরকারি পশু চিকিৎকদের সহযোগিতায় এ বছর রংপুর বিভাগের এই আট জেলায় কোরবানিযোগ্য প্রায় ১৩ লাখ ৩ হাজার ২৪১টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে।

বেকারত্বের অভিশাপ ঘোচাতে, আবার কেউ সংসারে স্বচ্ছলতা আনতে এসব খামার গড়ে তুলেছেন। কোরবানিতে দেশি জাতের ও শংকর গরুর চাহিদা বেশি থাকায় খামারিরা এ গরু স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মোটাতাজাকরণ করেছেন।

ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী ও বেপারিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে পশু অনুযায়ী দরদাম করে কিনতে শুরু করেছেন। তবে পশু খাদ্যের দাম বাড়ায় এর লালন পালন করতে খরচও বেশি পড়ছে বলে খামারি ও কৃষকরা জানিয়েছেন। সে কারণে গতবারের তুলনায় এবার পশুর দামও অনেক বেশি হতে পারে বলে ধারণা করছেন সংশিষ্টরা।

খামারিরা জানান, ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণ করতে গিয়ে পশুখাদ্যের দাম বাড়ার কারণে হিমশিম খাচ্ছি। ঈদের বাজারে লাভবান হওয়ার আশায় পশু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি। তবে ভারত থেকে পশু আমদানি করা হলেও খামারিরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে খামারিরা আশঙ্কা করছেন।

নগরীর গরুর খামার মালিক জয়নাল আবেদিন জানান, তার খামারে এখন ৪০টির অধিক গরু লালন পালন করা হচ্ছে ঈদকে সামনে রেখে। কয়েক দিনের মধ্যে হাটে তুলবেন।

রংপুর প্রাণিসম্পদ অফিসের উপ-পরিচালক ( ভারপ্রাপ্ত) সিরাজুল হক জানান, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে সরকারি পশু চিকিৎকদের সহযোগিতায় এ বছর রংপুর বিভাগের এই আট জেলায় কোরবানিযোগ্য প্রায় ১৩ লাখ ৩ হাজার ২৪১টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। তিনি বলেন, কৃত্রিম উপায়ে যাতে করে কোনো খামারি গরু মোটাতাজা করতে না পারে সে জন্য আমাদের মাঠকর্মীরা বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by