চট্টগ্রাম

লক্ষ্মীপুরে বিরোধপূর্ণ জমি ফের দখলে চেষ্টা

  প্রতিনিধি ৬ আগস্ট ২০২২ , ৫:১১:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

 

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকায় বিরোধপূর্ণ সেই ৭৬ শতাংশ জমি ফের দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শনিবার (৬ আগস্ট) ভোর রাতে জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতিতে এ সম্পত্তি দখল নেওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় টিনশেড দিয়ে কর্মচারীদের ডরমিটরী ও দুইটি টিনশেড ঘর নির্মানের চেষ্টা করে। ঘটনাস্থলে জেলা পরিষদের কর্মচারী ছাড়াও আনসার সদস্যসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা গেছে। এনিয়ে ফের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী নাছির আহম্মদ জানান, লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ আমাদের দীর্ঘ ৮০ বছর ধরে ওয়ারিস ও ক্রয়সূত্রে ব্যক্তি মালিকানাধীন সম্পত্তি জোর করে দখল নেওয়ার পুনরায় চেষ্টা করে। জেলা পরিষদের এহেন একঘেয়মি, একপেশী ও বেপরোয়া কর্মকান্ডের আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি আরো জানান, নোয়াখালী ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড থেকে নিলাম মূলে দাগ নং ৪৩১৮,১৯,২০ খতিয়ান নং ২৫৮৭ নকশায় ঞ‘ চিহৃ প্লট এর ৭৬ শতাংশ ভুমি মালিক হন নবদ্বীপ চন্দ্র নাথ। নবদ্বীপের মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ ছেলে কৃষ্ণ পদ নাথ ও স্ত্রী সুশীলা সুন্দরী ঐ জমির মালিক হয়ে ১৯৫৬ সালে মৃত হাজী আব্দুল গফুর. মহেন্দ্র পাল, কৃষ্ণ কামিনী নাথ, অঞ্জলী দেবী, কিরন বালা নাথ, লাল মোহন নাথ এর কাছে সবটুকু সম্পত্তি বিক্রি করে দেন।

পর্যায়ক্রমে ক্রয় ও ওয়ারিশ সূত্রে এই জমির মালিক হন হাজী নুরুল ইসলাম, নাসির আহমেদ, স্বপন চন্দ্র নাথ, মৃত বিনোদ বিহারী পাল, হাসান মোল্লা, মৃত ভুলু মিয়া। এরা দীর্ঘদিন ভোগদখলে থেকে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছে এবং মালিকানাধীন রেকর্ডও রয়েছে।

জেলা পরিষদ দীর্ঘ ৮০ বছর পর মালিকানাধীন রেকর্ড সংশোধন করে জেলা পরিষদেরা মালিকানায় নেওয়ার আবেদন করেন। গত ২২ জুন ২০২২ তারিখে জেলা রেকর্ড অফিসে এই আবেদনের শুনানী হয়। যার কোন আদেশ বা অনুলিপি এখনো প্রকাশ হয়নি। এমতাবস্থায় রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করেই জেলা পরিষদ উক্তি জমি দখলে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।

অপরদিকে জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার মিজানুর রহিম বলেন, জেলা পরিষদের পূর্বের দখলীয় জমিতে কর্মচারীদের জন্য ডরমেটরী নির্মাণ চলছে। কেই দাবিদার থাকলে আইনগত ভাবে আসার অনুরোধ করেন তিনি।

জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলাধীন পৌর শহরের বাঞ্চানগর মৌজার ৭৬ শতাংশ জমির মালিক লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদ। প্রতিপক্ষ ১৯৪২ সনে ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ডের ভূমি নবদ্বীপকে ছাফ কবলা দেয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। কেননা আইন অনুযায়ী ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড সরকারের পূর্ব অনুমোদন ব্যতিত কোন স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর করতে পারেনা বলে দাবি করেন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ জুলাই ওই সম্পত্তি জবর দখলের চেষ্টা করে ল²ীপুর জেলা পরিষদ। পরে প্রতিপক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মাহবুব সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। এনিয়ে দু’পক্ষই সংবাদ সম্মেলনে ওই সম্পত্তি নিজেদের দাবি করেন। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে আইনী কোন সমাধান এথনো হয়নি।

Powered by