ময়মনসিংহ

ল্যাক রাইস চাষে সফল শেখ সাদী

  প্রতিনিধি ৭ মে ২০২৩ , ৬:৪৪:৪৬ প্রিন্ট সংস্করণ

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি :
ঔষধি ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ ‘ব্ল্যাক রাইস’ চাষে সাফল্য লাভ করেছেন ময়মনসিংহের গৌরীপুরের তরুণ কৃষক শেখ সাদী। ৭০ শতাংশ জমিতে এ ধানের চাষ করেছেন তিনি। এতে বাম্পার ফলন হয়েছে। শেখ সাদীর বাড়ি উপজেলার ৪নং মাওহা ইউনিয়নের কড়মুড়িয়া গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার ‘ব্ল্যাক রাইস’ ধানের বীজ বগুড়া থেকে সংগ্রহ করেছেন তিনি। স্থানীয়  উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতায় তাঁর জমিতে এ ধানের পরিচর্যা করেছেন। এই ধান জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে রোপন করে প্রায় ৯০ দিনে কেটে নিয়েছেন তিনি। প্রতি কাঠায় (১০ শতাংশ) ফলন হয়েছে সাড়ে ১২মণ।
কৃষক শেখ সাদী বলেন, ‘ইউটিউবে প্রথম এ ধানের চাষাবাদের বিষয়ে দেখেন ও বিস্তারিত জানেন। পরে অনলাইনে বগুড়া থেকে ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার এ ধান বীজ সংগ্রহ করেন। ৫শ টাকা কেজি দরে ভিয়েতনামি ব্ল্যাক রাইসের এক কেজি বীজ ও ৪শ টাকা কেজি দরে ইন্দোনেশিয়ান গোল্ডেন ব্ল্যাক রাইসের দুই কেজি ধান বীজ সংগ্রহ করেন। ব্ল্যাক রাইসের চাল একটু মোটা ও গোল্ডেন ব্ল্যাক রাইসের চাল চিকন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ধান চাষে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সব সময় পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা করছে। এলাকার অন্যান্য কৃষকরাও এ ধান চাষ করতে আগ্রহ দেখাচ্ছে। তাই এই ধান বীজ হিসেবে সংরক্ষণ করবেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুন্নাহার লিপি বলেন, এই উপজেলায় এ ধান চাষ প্রথম। তবে এই ধান পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় মানুষের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। নতুন হওয়ায় এই ধানের চাহিদা স্থানীয়ভাবে কম। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন সুপারশপে এই ধানের চালের চাহিদা ব্যাপক। কৃষক ধানের চেয়ে চাল বিক্রয় করলে বেশি লাভবান হবে বলে তিনি জানান।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by