খেলাধুলা

শোয়েবকে দেখে মনে হয়েছিল মেরেই ফেলবে : তামিম

  প্রতিনিধি ১১ মে ২০২০ , ১:২৩:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে দ্রুতগতির ডেলিভারির রেকর্ড নিজের দখলে রেখেছেন পাকিস্তানের সাবেক গতিতারকা শোয়েব আখতার। ২০০৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিউল্যান্ডসে তার বোলিংয়ের গতি উঠেছিল ১৬১.৩ কিমি. প্রতি ঘণ্টা। তখন শোয়েব নিজের ফর্মের তুঙ্গে। তার সামনে ব্যাট করতে নামাও যেন এক সাহসিকতার ব্যাপার।

সে বছরই পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ২০০৩ সালের সেই সফরের মুলতান টেস্ট এখনও যেকোন বাংলাদেশির হৃদয়ে গেঁথে আছে অন্যতম শোকগাথা হিসেবে। তবে মুলতানের আগে খেলা দুই টেস্টে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের সামনে রীতিমতো আগুনের গোলা ছুড়েছিলেন শোয়েব।
এর মধ্যে পেশোয়ার টেস্টে তিনি একাই নেন ১০ উইকেট। সে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে শোয়েবের শিকার ছিল ৫০ রানে ৬ উইকেট। সেই ইনিংসে খানিক লড়াই করেছিলেন অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে করেন ২৫ রান।

তবে সেদিন শোয়েবের বিপক্ষে খেলার সময় বলই চোখে দেখেননি সুজন। প্রায় ১৭ বছর পর শোয়েবকে প্রথম খেলার স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে এ কথা জানিয়েছেন সে সফরের বাংলাদেশ অধিনায়ক।

রোববার রাতে তামিম ইকবালের সঙ্গে করা ফেসবুক লাইভ সেশনে সুজন বলেন, ‘অনেকেই আমার কথা বিশ্বাস করে না, অনেককেই বিশ্বাস করাতে পারি না, সেদিন শোয়েবের প্রথম বল আমি আসলে চোখেই দেখিনি।’

অগ্রজের কাছ থেকে এমন মন্তব্য শোনার পর তামিমও জানান শোয়েবকে খেলার নিজের অভিজ্ঞতার কথা। ক্যারিয়ারে মাত্র দুইবার শোয়েবের মুখোমুখি হয়েছেন তামিম। প্রথমবার ২০০৭ সালে কেনিয়ায় হওয়া ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে আর শেষবার ২০১০ সালের এশিয়া কাপে।

তামিম তখন যেকোন বোলারদের বিপক্ষে খেলেন অসীম সাহস নিয়ে। আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের জন্য কুড়িয়েছিলেন বাড়তি সুনামও। কিন্তু শোয়েবকে মোকাবিলা করার প্রথমদিন যেন মনে হয়েছিল মূর্তিমান আতঙ্কের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। তামিমের মনে হয়েছিল, সেদিন শোয়েব তাকে মেরেই ফেলবেন।

নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে তামিম বলেন, ‘আমি সবসময়ই বলি এটা। অনেক দ্রুতগতির বোলারকেই তো খেলেছি। ১৫০ কিমির আশাপাশে বলও মোকাবিলা করেছি অনেক। কিন্তু ভয় পেয়েছি একবারই। যখন শোয়েব আখতারকে প্রথম খেলতে নেমেছিলাম। ঐদিন মনে হয়েছিল সে আমাকে মেরেই ফেলবে। এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল তার বোলিং।’

সেদিন বেশিক্ষণ শোয়েবের বল খেলতে হয়নি তামিমকে! হবেই বা কেন? মাত্র ৪ বল খেলে ১ রান করে শোয়েবের বলে আউট হয়েই ফিরেছিলেন সাজঘরে। আর শেষ দেখায় শোয়েবের ৮ বল খেলেও আউট হননি তামিম, মুখোমুখি এই ৮ বলে করেছিলেন ২ রান। আর নিজের ইনিংসে করেছিলেন ২৭ বলে ৩৪ রান।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by