প্রতিনিধি ৫ নভেম্বর ২০২৩ , ৬:৪১:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় মজুরী বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভে কারখানায় হামলা চালিয়ে ভাংচুরের ঘটনায় ৩টি মামলা দায়ের করেছে ক্ষতিগ্রস্থ কারখানা কর্তৃপক্ষ। এসব মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে দেড় হাজার।
রবিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে আশুলিয়া থানা পুলিশ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে শনিবার রাতে মামলা ৩টি দায়ের করেন ক্ষতিগ্রস্থ তিন কারখানার কর্তৃপক্ষ।
ভাংচুর করা তিনটি কারখানা হচ্ছে, আশুলিয়ার বেরন সরকার মার্কেট এলাকার হামীম গ্রুপের নেক্সট কালেকশন্স লিমিটেড, কাঠগড়া এলাকার ছেইন এ্যাপারেলস লিমিটেড ও ইউসুফ মার্কেট এলাকার ডিসাং সোয়েটার লিমিটেড। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৩১শে অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ছেইন এ্যাপারেলস লিমিটেডে ভাংচুর চালায় বিক্ষুব্ধ শ্রমিক ও বহিরাগতরা। এ ঘটনায় ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন কারখানাটির ডিজিএম (অপারেশন) মো. আনিসুর রহমান।
একই দিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ধনাইদ ইউসুফ মার্কেট এলাকার ডিসাং সোয়েটার কারখানায় ভাংচুর করা হয়। এঘটনায় ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাতনামা শ্রমিক ও বহিরাগত আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। এছাড়া গত ৩০ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৮টার দিকে হামীম গ্রুপের নেক্সট কালেকশন্স লিমিটেডে কারখানায় হামলার ঘটনা ঘটে। ওই হামলায় গুরুতর আহত হন কারখানার শ্রমিকসহ কর্মকর্তারাও। কারখানায় ক্ষয়ক্ষতির হয় কয়েক কোটি টাকার। অনধিকার প্রবেশ, হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট, জখম, চুরি ও ভাংচুরের অভিযোগে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়। আসামী করা হয়েছে অজ্ঞাতনামা ৫শ থেকে ৬শ জনের বিরুদ্ধে। ৩টি মামলায় মোট আসামী করা হয় ১হাজার ৫০০। হা-মীম গ্রুপের নেক্সট কালেকশন্স লিমিটেডের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফরহাদ উদ্দিন বলেন, গতকাল আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ আমাদের কারখানার শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। কারখানা চলছে।
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী বলেন, আজ সকাল থেকেই শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। সবাই স্বাধীনভাবে কাজ করছেন। তবে অনাকাংখিত পরিস্থিতি এড়াতে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। এছাড়া কারখানায় ভাংচুরের ঘটনায় ৩টি মামলা হয়েছে। কারা ভাংচুর করেছে বা কারা জড়িত ছিল সেসব বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।