ঢাকা

শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

  প্রতিনিধি ২০ এপ্রিল ২০২৪ , ৮:০৭:৩৭ প্রিন্ট সংস্করণ

শ্রমিক নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

সাভারে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ৭জন নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শ্রমিক নেতারা। 

শনিবার সকালে আশুলিয়ার আউকপাড়া আদর্শ গ্রাম জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোট সংগঠনটির শাখা কার্যালয়ে এক ব্রিফিং এর মাধ্যমে এই অভিযোগ করেন তারা।

গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরাম সাভার কমিটির সভাপতি মোঃ কবির খান মনির (৪৫), উপজেলা কমিটির আহবায়ক ইমাদুর রহমান ইমদাদ (৩৫), সদস্য মোঃ বিদ্যুৎ আহমেদ (৩৮), হিউম্যান রাইটস গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক সংস্থার সভাপতি রুমা আক্তার (৩৬), গার্মেন্টস শ্রমিক জোট থানা কমিটির সেক্রেটারি 

মোঃ কবির আহমেদ (৩২), মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস্ ওয়ার্কাস ফেডারেশন সাভার থানা কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম (২৭) ও জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক জোটের সাভার ও আশুলিয়া কমিটির সভাপতি 

কামরুল ইসলাম মৃধা (৩৬) নামের ৭জন শ্রমিক নেতাদের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন জান্নাতুল ফেরদৌস আঁখি (৩২) নামের এক শ্রমিক নেত্রী।

ভুক্তভোগী শ্রমিক নেতারা অভিযোগ করে বলেন, শাহ-আলম ও আখিঁ সম্পর্কে তারা স্বামী স্ত্রী। তার স্ত্রীকে আমরা চিনি না। শাহ-আলমকে চিনি। তাদের সাথে আমাদের ব্যাক্তিগত কোন সম্পর্ক নাই। সাভারের আনলিমা গার্মেন্টসে ২৬জন শ্রমিককে ছাঁটাই করেছিল কারখানা কর্তৃপক্ষ। ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের নিয়ে আমরা প্রায় ১৪টি সংগঠন একত্রিত হয়ে তাদের দাবি আদায়ে কাজ করি।

পরে কারখানার কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের ২৬ ধারায় পাওনাদি দেওয়ার কথা বলেন। এরপরে রাষ্ট্র সংস্কার শ্রমিক আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শাহ-আলম ওই কারখানার মালিকের সঙ্গে লিয়াযো করে। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কারখানা কর্তৃপক্ষ ২৬ ধারার পরিবর্তে ২০ ধারায় শ্রমিকদের পাওনাদি দেবে বলে প্রক্রিয়া করে আসছিলো। এর কিছুদিন পরে শ্রমিকদের পাওনাদি দিয়ে দেয়।

পরে আমরা হিসাব করে দেখি ২০ ধারা অনুযায়ী যে টাকা তাদেরকে দেওয়ার কথা ছিলো, তা দেওয়া হয়নি। এর আগে পাওনাদি আদায়ে শ্রমিকদের আসা-যাওয়ার জন্য আমরা নিজেদের পকেট থেকে গাড়ি ভাড়া বাবদ কিছু টাকা ব্যায় করেছিলাম। ১৪টি সংগঠনের নেতারা মিলে আমরা শাহ-আলমের কাছে ব্যয়কৃত টাকার কথা বলা হলে, সে আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে আমরা জানতে পারি কারখানা কর্তৃপক্ষ গাড়ি ভাড়া বাবদ ৫০ হাজার টাকা তার কাছে দিয়েছে। এই টাকার কথা জানতে চাইলে সে অস্বীকার করে।

পরে সে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার স্ত্রী আঁখির মাধ্যমে বিভিন্ন সংগঠনের ৭জন নেতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছে। আমরা শাহ-আলমের স্ত্রীকে চিনি না। অথচ তাকে দিয়ে আমাদের নামে এই মামলা করানো হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই, সেই সাথে সঠিক তদন্ত করে এর সুষ্ঠ বিচারের দাবী জানাই। 

অন্যদিকে এবিষয়ে আঁখি বেগমের সাথে তার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by