প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৪:৪১:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ
জাতীয় পর্যায়ের বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (এনডিপি) এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় খামার দিবস উদযাপন করা হয়েছে। পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়ন ও কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত সমন্বিত কৃষি ইউনিটের প্রাণিসম্পদ খাতের উদ্যোগে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের পদমপাল গ্রামে দিবসটির আয়োজন করা হয়।
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, দিবসটিকে কেন্দ্র করে এনডিপি’র ঋণ সহায়তা কর্মসূচির শিয়ালকোল শাখার অধীনস্ত প্রায় শতাধিক ছোট-বড় খামারি এতে অংশগ্রহণ করেন। মূলত নতুন উদ্ভাবিত বাউ চিকেন পালন করে সফলতাকামী খামারিবৃন্দ এতে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বাউ চিকেন পালনের সুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন এনডিপির প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: সাজ্জাদ হোসেন এবং মো: মইনুল হাসান।
জলবায়ু সহিষ্ণু বাউ মুরগি অন্যান্য মুরগির তুলনায় কম দিনেই বাজারজাতের উপযুক্ত হয়। সাধারণত এটি ৪৫-৫০ দিনে ০১ কেজি ওজন পর্যন্ত হয়ে থাকে এবং বাজারে বিক্রির উপযুক্ত হয় বলে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা উল্লেখ করেন। একই সাথে অন্যান্য মুরগির তুলনায় বাউ চিকেন এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অত্যন্ত বেশি এবং জরিপে দেখা যায় এই মুরগির মৃত্যু হার সর্বোচ্চ ২ শতাংশ। এই মুরগির আরেকটি গুণাবলির মধ্যে অন্যতম ফিড কনভার্শন রেশিও। অর্থাৎ একটি মুরগি ৪৫-৫০ দিনে ২ কেজি খাবার খেয়ে থাকে এবং যা থেকেই এর ওজন ০১ কেজি হয়।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে এনডিপি’র সহকারী ব্যবস্থাপক (আরএন্ডডি) মো. জানাফার ইসলাম, সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সবুজ হোসেনসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত দেশি মুরগির চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে এবং বৃহৎ জনগোষ্ঠীর আমিষের ঘাটতির কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোলট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: আশরাফ আলী এবং অধ্যাপক ড. মো: বজলুর রহমান মোল্যা দীর্ঘদিন গবেষণা করে ’বাউ ব্রো মুরগি বা বাউ মুরগি’ নাম দিয়ে দুটি স্টেইন বা জাতের উদ্ভাবন করেন।
উদ্ভাবিত দুটি জাতের নাম রাখেন ’বাউ ব্রো হোয়াইট ও বাউ ব্রো কালার’। বাউ ব্রো কালার দেশি মুরগির মত হওয়ায় ভোক্তার কাছে অধিক জনপ্রিয়তা পায়। তখন থেকেই এটি বাউ মুরগি নামে জনপ্রিয়তা পায়।