সম্পাদকীয়

এ লড়াইয়ে জিততে হবে

  প্রতিনিধি ৩০ মার্চ ২০২০ , ৭:৫৯:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ১০ দিনের সাধারণ ছুটির প্রথম ও দ্বিতীয় দিন কার্যত লক ডাউন হয়েছে দেশ। গত বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধে জিততে সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানিয়েছিলেন। ‘ঘরবন্দি’ এখন মানুষ। সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ। আরও আগে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। সড়কে যানবাহন তেমন একটা নেই। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না শহর-গ্রামবাসী। যারা দু’একজন বের হচ্ছেন তারাও যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন কিনা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকছে কিনা, তা নিশ্চিত করতে রাস্তায় নেমেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ২৫ মার্চ থেকে মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে সেনাবাহিনী। এর অংশ হিসেবে তাদের ২৯০টি দল দেশের ৬১ জেলায় স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে এক যোগে কাজ করছে। এ সময়ে সামাজিক দূরত্ব ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সাধারণ জনগণকে উৎসাহিত করছেন সেনা সদস্যরা।

 পাশাপাশি তারা বিদেশ ফেরতদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টিও পর্যবেক্ষণ করছেন। রাস্তায় এখন মানুষ নেই। কারো কারো দেখা মিললেও মুখ দেখা যাচ্ছে না, মাস্কে ঢাকা। দুই হাতে দস্তানা। বাস স্ট্যান্ড, টার্মিনালের সেই চেনাচিত্র আর নেই, ছুটছে না বাস-ট্রেন। ভুতুড়ে হয়ে ওঠা সড়কে দেখা যাচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগের গাড়ি, পুলিশের গাড়ি, সেনা সদস্যদের টহল। ওষুধের দোকান বা কাঁচা বাজার ছাড়া সব দোকানপাটই বন্ধ। সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় ভূমিকা রাখতে হবে। যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে তা মেনে চলতে হবে। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া চলবে না। মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্য বিধি। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় বাংলাদেশ করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত হবে এমনটি আশা করা যায়। আমরা উদ্বিগ্ন না হয়ে সচেতন হই। ধর্মীয় ও সামাজিক অনুশাসন মেনে চলি, ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করি। আসুন আমরা সবাই যার যার অবস্থান থেকে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by