ঢাকা

আশুলিয়ায় জমি নিয়ে বিরোধ; পাল্টাপাল্টি মামলা

  প্রতিনিধি ১৫ নভেম্বর ২০২২ , ৮:৪৮:২৪ প্রিন্ট সংস্করণ

আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধিঃ

ঢাকার শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার গোরাট এলাকায় গেদু মিয়া ও তার প্রতিপক্ষ মাসুদ মন্ডল, সাজ্জাদুর রহমান সজীবের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। তারা ঐ জমি নিজেদের দাবি করে একে অপরের বিরুদ্ধে আমলী আদালতে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে গেদু মিয়া ও মাসুদ মন্ডল, সাজ্জাদুর রহমান সজিবের কাছ থেকে এই ঘটনা সম্পর্কে জানা যায়।

গেদু মিয়া ঐ জমি নিজের দাবি করে বলেন, এই জমি আমার বাবার সম্পদ । এটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছি। এইখান থেকে আমার আব্বা নিজেও কিছু বিক্রি করেছে এবং দলিল মূলে পাওয়ার পর আমি ও আমার ভাই-বোনরাও কিছু বিক্রি করেছে। সিএস, এসএ, আরএস এবং বিএস রেকর্ডও আমাদের নামে আছে। মাসুদ মন্ডল এতো বছর কোথায় ছিলো? এখন হঠাৎ করে এসে আমাদের জমি দখলের পায়তারা করছে এবং নিজেদের বলে দাবি করছে। আর ওরা যেসব কাগজ দেখাচ্ছে সেগুলো সব জাল। কয়েক দিন আগে মাসুদ মন্ডল তার ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে এসে আমার বাউন্ডারি দখলের চেষ্টা করলে আমি কোর্টে একটি ১৪৫ ধারায় মামলা দিয়েছি। মামলা নং ২০৭/২২, তারিখ ২৮/৭/২২। এই মামলার তদন্ত আসছে আশুলিয়া ভূমি অফিসে। ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ার আবুবক্কর সিদ্দিক আসছিলো। তদন্তের শেষে চলে যাওয়ার সময় গাড়ি ভাড়ার জন্য আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিছে এবং পরে আমাকে অফিসে যেতে বলেছিলো। অফিসে গেলে সে আমার কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করে। যদি না দেই তাহলে তদন্ত প্রতিবেদন মাসুদ মন্ডল ও সজিবের নামে দিয়ে দিবে। পরে জানতে পেরেছি সার্ভেয়ার আবুবক্কর সিদ্দিক, মাসুদ মন্ডল ও সজীবের পক্ষে প্রতিবেদন দিয়ে দিয়েছে।

অন্যদিকে মাসুদ মন্ডল অভিযোগ তুলে বলেন, গেদুর বাপ ইয়ানুছ আলী ছিলো একটা বাটপার। ইয়ানুছ এই জমির মূল মালিক ডুলির পরিবারকে নির্যাতন করে জমি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপরে এটা ভোগদখল করতে শুরু করে এবং জাল কাগজপত্র বানিয়ে নেয়। এই জমি বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে দেয়। কিনার পর প্রত্যেকে নিজেদের নামে বিএস রেকর্ড করে। আমি এই রেকর্ডের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দিয়েছি কারণ মূল মালিক পক্ষের কাছ থেকে আমি ও আমার আত্মীয় এই জমির পাওয়ার এনেছি।

এব্যাপারে আশুলিয়া এসিল্যান্ড অফিসের সার্ভেয়ার আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর বেশী আমি বলতে পারবো না। আমার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এসিল্যান্ড স্যার আছেন, আপনি স্যারের সাথে কথা বলুন। তবে সার্ভেয়ার আবুবক্কর সিদ্দিক অর্থ লেনদেনের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।

এব্যাপারে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেল (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by