খুলনা

কুষ্টিয়ায় এক্সিল্যান্ড ওয়ার্ল্ডে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের হানা

  প্রতিনিধি ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ , ৮:০৫:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

কুষ্টিয়ায় এক্সিল্যান্ড ওয়ার্ল্ডে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের হানা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ায় এক্সিল্যান্ড ওয়ার্ল্ড নামে প্রতারণা মহাফাঁদ বসানো হয়েছে। খোদ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে বিলাশ বহুল অফিস বানিয়ে পণ্যের পসরা সাজিয়ে শিকার চলছে। এমন খবর কয়েকদিন ধরে কুষ্টিয়ার বাতাসে ভাসতে থাকে। পুলিশ সুপার এবং জেলা প্রশাসন খোঁজ খবর নিতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটির। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে তথ্য আছে প্রতিষ্ঠানটির কোন কাগজপত্র নেই। এমন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জুডিশিয়াল শাখার নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সবুজ হাসান পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান চালায় ওই নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে। তিনি গিয়ে দেখতে পান একেক প্রোডাক্টের গায়ে একের রকম লেবেল। কোন পন্যের গায়ে কসমেটিকস, কোন পন্যের গায়ে খাদ্যের লেবেলিং করা। এছাড়া যেসকল পন্য তারা প্রতারণার মাধ্যমে বিক্রি করে আসছেন তার অধিকাংশ বিএসটিআইর অনুমোদন নিতে হয়। পন্যের গায়ে বিএসটিআই এর সীল সংযুক্ত। কিন্তু পণ্যের গায়ে লেখা আছে পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা পরিক্ষিত। পণ্যের গায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোগ্রাম ব্যবহার করা হয়েছে তাও বড় ধরণের প্রতারণা। এাক্সিল্যান্ড ওয়ার্ল্ড একটি এমএলএম কোম্পানী বলে দাবী সদস্যদের। যদিও ২০১৪ সালে বাংলাদেশে এমএলএম কোম্পানী নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বানিজ্য মন্ত্রনালয়। সরকারের আদেশের বিরুদ্ধে আদালতে যান এমএলএম কোম্পানীর কর্ণধররা। হাইকোর্টে টিকে যায় ৫ টি কোম্পানী। ওই ৫ টি কোম্পানী ব্যবসা করতে পারবেন বলে রায় দেন হাইকোর্ট। ওই ৫ টি কোম্পানীর মধ্যে এাক্সিল্যান্ড ওয়ার্ল্ড নেই। এর অর্থ এাক্সিল্যান্ড ওয়ার্ল্ডের এমএলএম ব্যবসাও অবৈধ। এমএলএম কোম্পানীর সংজ্ঞায় বলা আছে ‘ক্রেতাকে স্বপ্ন দেখিয়ে ক্রেতার কাছে সেমিনারের মাধ্যমে কোন পন্য তুলে দেয়া হলে তাকে এমএলএম ব্যবসা বলে।’ দিশা টাওয়ার সহ বিভিন্ন জায়গায় এাক্সিল্যান্ড ওয়ার্ল্ড সেমিনার করে তাদের পন্য বিক্রি করেছে। এক একটি পন্যের গায়ে একেক রকম কথা লেখা যা ইংরেজিতে। কোনটায় কসমেটিক কোনটায় ফুড। সূত্র বলছে, এটি একটি প্রতারণার মহাফাঁদ। একজনকে ৭ হাজার টাকা দিয়ে সদস্য হতে হয় এই প্রতিষ্ঠানের। এরপর সে নিজে মালিক বনে যায়। পদ পদবীতে জায়গা হয় জিএম। কুষ্টিয়ায় এই ভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন শত শত মানুষ। যে প্রতারণার শিকার হচ্ছে সে আবার পরবর্তীতে বড় প্রতারক হচ্ছে। চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। ম্যাজিষ্ট্রেট সবুজ হাসান প্রতারণা দেখে হতবাক হয়ে যান। প্রত্যক্ষদর্শী সংবাদকর্মীরা জানান, অফিসে প্রায় ১০০ জন নিয়ে সেমিনার করে পন্য তুলে দেয়া হচ্ছিলো। প্রতারণার দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে ভ্রাম্যমান আদালত প্রতিষ্ঠানের জিএম পরিচয়দানকারী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিষ্ট্রার তারেক উদ্দিন সহ সোহানুর রহমান,জাকির হোসেন, তুহিন আলী , চাদ সরকারকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি কুষ্টিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয় সীলগালা করে দেয়া হয়।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by