Uncategorized

ক্ষেতলালের আছরাঙ্গা দীঘি, পর্যটনের সম্ভাবনা

  প্রতিনিধি ১২ এপ্রিল ২০২১ , ৫:৩১:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

আজিজার রহমান, ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) :

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় অবকাশ ও বিনোদনের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় তেমন স্থান নেই বলেই চলে। এই নেই এর মধ্যেও কানা মামার মতো আছরাঙ্গা দিঘি বনভোজন, বিনোদন ও অবকাশ যাপনের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিলে এই দীঘিকে একটি আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব বলে স্থানীয় সুশিল সমাজের ধারণা।

উপজেলা সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে মামুদপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত ক্ষেতলাল-আক্কেলপুর রাস্তার পাশে নিভৃত পল্লীতে এর অবস্থান। দীঘিটির দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১০০ ফুট, প্রস্থ ১ হাজার ৭০ ফুট। জনশ্রæতি রয়েছে, জমিদার মহারাজন প্রায় এক হাজার বছর আগে বিশাল এই দীঘিটি খনন করেন। কয়েকশ বছর পরিত্যক্ত আবস্থায় পরে থাকায় ভুয়া কাগজ তৈরির মাধ্যমে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল এটি দখলে রাখে। পরবর্তী সময়ে সরকার দীঘিটির দখল নিয়ে ১৯৯২ সালে এর সংস্কার করলে এটি ফিরে পায় হারানো ঐতিহ্য।

দীঘিটি সংস্কারকালে মহামূল্যবান বেশ কিছু কষ্টি পাথরের মুর্তি পাওয়া যায়। যার মূল্যে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সাড়ে ৩ হাত লম্বা এবং সাড়ে ৭ মণ ওজনের একটি বিষ্ণুমূর্তি উল্লেখযোগ্য। উদ্ধারপ্রাপ্ত প্রায় ২০টি মূল্যবান মূর্তি সরকারি সংগ্রহশালায় সংরক্ষণ করা হয়েছে। আছরাঙ্গা দীঘির চার পাড়ে গোসল করার কাজে ব্যবহৃত চারটি ঘাট রয়েছে। চওড়া ইটের বাঁধাই করা ঘাটগুলো দেখলেই অনুমান করা যায় এটি অতি প্রাচীন। দীঘির চারদিেিক নানা জাতারে অগনিত বৃক্ষ শোভাবর্ধন করলেও এখানে পর্যটকদের অবসর যাপনের জন্য কোনো ব্যবস্থা নেই।

১৯৯২ সালের ৩ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীঘিটির সংস্কারকাজের উদ্বোধনকালে এটিকে পর্যটন স্পট হিসেবে গড়ে তোলার ঘোষনা দিয়েছিলেন। তার ঘোষণা অনুযায়ী শুধু পাকা সড়ক নির্মাণ করা হলেও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার পরবর্তী কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। ফলে বর্তমানে দীঘিটিতে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ইজারা প্রদানের মাধ্যমে ব্যক্তি উদ্যোগে মাছ চাষ করা হচ্ছে। সরকারীভাবে আছরাঙ্গা দীঘিকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা না হলেও দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় এখানে লেগেই থাকে।

তবে আশার আলো এই যে, গত মার্চে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের হুইপ ও সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং জয়পুরহাট ২ আসনের (ক্ষেতলাল, কালাই, আক্কেলপুর) সংসদ সদস্য আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন চীনের কয়েকজন নাগরিকদের নিয়ে দীঘিটি পরিদর্শন করেন। তিনি পর্যটন স্পট হিসেবে দীঘিটি কাজে লাগাবেন বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by