চট্টগ্রাম

খিরা ফলনে বাম্পার হলেও কৃষকের মলিনতা কাটেনি

  প্রতিনিধি ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ১২:৫৬:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

আলমগীর হোসেন বিজয়নগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া :

ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে খিরা চাষাবাদের চাষীদের আগ্রহ দেখা না গেলেও, মৌসুমী সবজি হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পার্শ্ববর্তী জেলা হবিগঞ্জে মাধবপুর উপজেলার বুললা ইউনিয়নে অধিক বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলনে বাম্পার হলেও কৃষকের মুখে নাই কোন আনন্দের ছোঁয়া, পাচ্ছেনা প্রকৃত মূল্য পাচ্ছে না প্রকৃত মূল্য, প্রতি ৫০ কেজি বস্তা সর্বোচ্চ ধরে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। কোন কোন জায়গাতে দেখা যায়, জমিতে পচন ধরছে, কৃষকরা জমি থেকে তুলতেই চাচ্ছেন না, তার কারণ হলো ক্রেতা নাই খিরা জমি থেকে তুলতে প্রতি মজুরকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিতে হচ্ছে। মজুরি ও বিক্রির মূল্য প্রায় সমান সমান, এতে করে কৃষকের উৎসাহ কমে যাচ্ছে।
মাধবপুর উপজেলায় বুল্লা গ্রামের সোহাগ মিয়ার খিরা সবজির মাঠ দৃশ্য মানে দেখা যায়, খিরা তুলছেন খুব সুন্দর করে রীতিমত চা বাগানের কর্মীদের চা তুলার মত, কোমরে বস্তা বেধে। তিনি উদ্বেগ কনটে বলেন, খিরার ফলন ভালো হলে কি হবে, পাচ্ছিনা প্রকৃত মূল্য, নাই ক্রেতা, প্রতি বস্তা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বিক্রি করা খুব কষ্টকর। প্রতি দুইদিন তিনদিন পর পর বিষ দিতে হয়, বিষের মূল্যও খুব বেশি। আর প্রতি মজুরকে দিতে হয় খিরা তুলতে ৫০০ টাকা, কোনভাবে পৌঁছানো সম্ভব নয়। চাষাবাদের খরচ ও নিজের মজুরি তো বাদই দিলাম। এজন্যই এই মৌসুমীর সবজি থেকে মন উঠে গেছে। একটু দূরের বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি হলেও আমরা পাচ্ছিনা ৫ টাকা কেজি বিক্রি করতে। যদি অন্য জেলার পাইকাররা আসতো তাহলে ভালো মূল্য পেতাম।

এ বিষয়ে মাধবপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন হাসান বলেন, নিঃসন্দেহে ফলন ভালো হয়েছে, যদি আমাদের কৃষকরা সিজনের প্রথম দিকে দামটা একটু ভাল পায়, ও আমাদের কৃষকরা মিলে যদি এলাকায় বিক্রি না করে, একটু দূরে গিয়ে পাইকারদের কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করতো তাহলে মূল্যটা একটু ভালো পেত, আমারও তাদেরকে পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করতেছি যাতে কৃষকরা তাদের পণ্যের ভালো মূল্য পায়, আর এ বছর সিরামন পাত ব্যবহার করাতে জমিতে বিষ দেওয়ার প্রয়োজন হয় না।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by