ঢাকা

গাজীপুরে শীতের পিঠা বিক্রি করে চলে হযরত আলী ও আছিয়ার সংসার

  প্রতিনিধি ৬ ডিসেম্বর ২০২১ , ৫:৩৯:০৩ প্রিন্ট সংস্করণ

সাইফুল ইসলাম শুভ, গাজীপুর সদর প্রতিনিধি:

গাজীপুর সদর উপজেলার মনিপুর এলাকায় হযরত আলী ও আছিয়া অভাব-অনটনে সংসার চালানো হয়ে পড়ে দায়। অবশেষে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে শুরু করে মনিপুর মাসুমা টাওয়ার কানচূরাম মার্কেটের রাস্তার উত্তর সাইডে শীতের চিতই ও ভাপা পিঠা বিক্রি। প্রায় দীর্ঘ ৫-৬ বছর ধরে শীতের পিঠা বিক্রি করে চলছে তাদের সংসার।

শুধু হযরত আলী ও আছিয়া দম্পতি নয়, গাজীপুর সদরে তাদের মতো অনেক নারী–পুরুষের সংসার চলছে শীতের বিভিন্ন সুস্বাদু পিঠা বিক্রি করে। শীতকালে শীতের কুয়াশা ভেজা সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা আর পুলির আয়োজন বহুকাল আগে থেকেই করা হয় ঐতিহ্যগতভাবেই।

কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে ইচ্ছে থাকলেও এখন অনেকেই ঘরে ঘরে শীতের পিঠা বানিয়ে খেতে পারে না। বাড়িতে পিঠা বানানোর ঝামেলা এড়াতে অনেকেই পিঠার দোকান থেকে পিঠা ক্রয় করে স্বাদ মিটাচ্ছে। তাই গাজীপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে জমে ওঠে বাহারি শীতের পিঠার দোকান।

সন্ধ্যার পর থেকে এক প্রকার সিরিয়াল দিয়ে কিনতে হয় পিঠা। রাস্তার দোকানের পাশে দাঁড়িয়ে অনেককেই দেখা যায় পিঠা খেতে। আর শীতের পিঠা খাওয়ার তৃপ্তি মেটাতে গিয়ে গাজীপুর সদর এর অনেক পরিবারের উপার্জন হচ্ছে এখান থেকেই।

যা দিয়ে চলছে তাদের সংসার, যা তাদের জীবনযাপনে সাহায্য করছে। শুধু যে সাধারণ মানুষই এই পিঠা খেয়ে থাকেন তা নয়। গাজীপুর সব শ্রেণি-পেশার মানুষ রাস্তার ধারের পিঠার দোকানের ওপর নিভর্রশীল হয়ে উঠছে দিন দিন।

গাজীপুরে বিভিন্ন জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা গুলোতে শীতকালে শীতের শুরু থেকেই ভাপা পিঠা ও চিতই (চিতি) পিঠা বিক্রি হয়। চিতই পিঠার সঙ্গে সরিষার ভর্তা, শুঁটকি ভর্তা, মরিচের ভর্তা, ধনেপাতা ভর্তা দেওয়া হয়। ডিম দিয়েও বানানো হয় চিতই পিঠা। ভাপা পিঠা ১০ টাকা, ডিমচিতই ১০-১৫ টাকা করে প্রতি পিচ বিক্রি হয়।

মনিপুর মাসুমা টাওয়ার কানচূরাম মার্কেটের এলাকার পিঠা বিক্রি করা হযরত আলী ও আছিয়া ভোরের দর্পণ কে জানান, খেজুর গুড় ও চালের গুঁড়া দিয়ে তৈরি ভাপা আর চালের গুঁড়া পানি দিয়ে বানানো হয় চিতই পিঠা। শীতের পিঠা হলেও বছরের প্রায় সব সময়ই তিনি পিঠা বিক্রি করেন। পিঠা বিক্রি করেই চলছে তাদের সংসার। পিঠা বিক্রির টাকা দিয়ে দুই মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন করেছেন ।

৫-৬ বছর ধরে শীতের পিঠা বিক্রি করেন। শীত বেশি পড়লে পিঠা বিক্রি বাড়বে। প্রতিদিন গড়ে ৩ শতাধিক পিঠা বিক্রি করেন তিনি। চালের গুঁড়া, গুড়, লাকড়ি ও অন্যান্য খরচ বাদে ৫০০-৬০০ টাকা লাভ হয় দিনে। সন্ধ্যায় দোকানে পিঠার চাহিদা বেশি থাকে। সন্ধ্যার সময় পিঠা কিনতে দোকানে সিরিয়াল দেন ক্রেতারা।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by