শিক্ষা

জবির ছাত্রী হল উদ্বোধনের অপেক্ষায়, আশেপাশের পরিবেশ নিরাপত্তায় ভাবাচ্ছে

  প্রতিনিধি ১৮ অক্টোবর ২০২০ , ৪:২৬:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ

এএমসি শাহরিয়ার, জবি সংবাদদাতা:

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহুল প্রতিক্ষিত একমাত্র ছাত্রীহলের উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ২০অক্টোবর। ১৬ তলা বিশিষ্ট এই হলে এক হাজার ছাত্রী আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে।

জানা যায়, এ প্রকল্পের প্রথম দফায় মেয়াদ ছিল ২০১১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৩ সালের জুন পর্যন্ত। বারবার মেয়াদ বাড়ানোর পর, অবশেষে আলোর মুখ দেখলো প্রকল্পটি। প্রায় ১০ বছরে সম্পন্ন হলো বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নির্মাণ কাজ।

হলটি মূল ক্যাম্পাসের অপরপ্রান্তে এবং বর্তমান হলের জায়গার পাশে বাকি সব স্থাপনা ভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। আর সামনের সড়কটি সদরঘাট অভিমুখী হওয়ায় যানজটসহ সবসময় ভিড় হয় প্রচুর মানুষের ।

 

এমনিতেই মূল ক্যাম্পাসের মেইন গেটে, শিক্ষার্থীদের মুক্ত চলাচলে প্রতিবন্ধকতা মুখোমুখি হতে হয় । চলাচল করার সময় সব যানবাহনকে হাতের ইশারায় থামিয়ে ক্যাম্পাসে ঢুকতে এবং বের হতে হয় । প্রতিদিনের এই সমস্যার কোনো সুরাহা করে নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অধিকাংশ সময় বেপরোয়া লেগুনা ও রিক্সা উপেক্ষা করে এসব অনুরোধের ইশারা ।

এদিকে উদ্বোধনের অপেক্ষায় থাকা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলেতুন্নেছা মুজিব হলটি বিশ্বাবিদ্যালয় খোলা হলে চালু হবে জানিয়েছে প্রশাসন ।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর বর্তমান হলে ঢুকার সামনে রাস্তাতে বিভিন্ন জায়গার রিক্সা জড়ো করে রাখা । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রিক্সাচালক জানান, কামরুল, রিপন ও ফরিদ নামে তিন মহাজনের যৌথভাবে প্রায় দেড়শো-দুশো রিক্সা এখানে রাখা হয় । আর কথিত মহাজন রিপন জানান, তাঁরা যে কোনো সময় উঠে যাবেন । সামনে আর রিক্সা জড়ো হবে না এখানে ।

এছাড়া সন্ধ্যা হলেই ভাসমান হকারের ফুটপাতে দোকান জুড়ে বসে ।

 

ফুটপাতের দোকান, চায়ের টং দোকান সামনে রেখে একটি হলের শিক্ষার পরিবেশ কতটুকু নিশ্চিত জানতে চাওয়া হলে নবনির্মিত হলের প্রভোস্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম জানান,

 “প্রথমে ছাত্রীদের নিজেদেরই নিজেদের নিরাপত্তা দেখতে হবে । কারণ, পুরান ঢাকার গিজগিজে পরিবেশের কথা আমরা সবাই জানি, এটা মেনে নিতে হবে । কারণ, সে তো সারাক্ষণ রাস্তায় বাইরে থাকবে না । বাইরের নিরাপত্তার জন্য সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় কাউন্সিলর ও থানা আছে ।”

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কি আলাদা করে কোনো নিরাপত্তার দায়িত্ব নেই? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “অবশ্যই, আমাদের ভাবনা আছে, মেয়েরা সন্ধ্যার পরে বের হতে পারবে না । আমাদের নিয়ম নীতি থাকবে, এটা হলে মেয়েরা উঠার আগে সব প্রক্রিয়া চুড়ান্ত হবে । সবাইকে তা মানতে হবে।”

 

হলের বাইরে সার্বিক পরিবেশ ও ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে জানতে চানতে চাওয়া হলে উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান রহমান বলেন, ওখানে যা আছে, তা তো আর গুলশান-বনানীর মতো করা যাবে না । আমরা আমাদের সাধ্যের মধ্যে যা করা যায় করবো ।

বর্তমান হলের সামনের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা আছে জানালে উপাচার্য বলেন, ফুটপাতের ভাসমান দোকান হল খোলারপর আর থাকবে না । সামনের রাস্তা উম্মুক্ত থাকবে ।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by