শিক্ষা

ঢাবিতে সকল ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থানের দাবি সাদা দলের

  প্রতিনিধি ১ জুন ২০২২ , ৭:৫৬:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

ভোরের দর্পণ ডেস্কঃ

সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদল ও ছাত্রলীগের মাঝে সংঘটিত অস্থিতিশীল অবস্থানকে কেন্দ্র করো ‘সন্ত্রাসী ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দাবিতে’ এই ব্যনারে মানববন্ধন করেছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সংঘটন সাদা দল। এসময় ক্যাম্পাসে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের দাবি জানান তারা।

বুধবার (১ জুন) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের সামনে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধন কর্মসূচি করেন তারা।

এসময় বক্তরা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পাসে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। যেটুকু করেছে তাও সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে। সাদা দলের শিক্ষকরা ছাত্রদলের উপর হামলার প্রতিবাদে ও নিন্দা জানিয়েছেন। একইসাথে ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সহাবস্থানের দাবি জানিয়েছেন।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি সাদা দলের সাবেক আহবায়ক অধ্যাপক লুৎফুর রহমান। মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও অধ্যাপক মামুন আহমেদ, ফিন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বিজ্ঞান অনুষদের সাদা দলের সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক এমরান কাইয়ুম, কলা অনুষদের আহ্বায়ক মো. আল আমিনসহ সংগঠটির আরো অনেক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, ক্যাম্পাসের এই চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমরা উপাচার্যের সাথে একাধিকবার সাক্ষাৎ করেছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সরকারের কাছে গত কয়েকদিন ধরে ক্যাম্পাসে চলমান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করে শিক্ষার সুস্থ পরিবেশ বজায় রাখার দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, দেশের অন্যতম বৃহৎ ছাত্র সংগঠন, ছাত্রদলের বিরুদ্ধে যেসকল মামলা হয়েছে তা তুলে নেয়ার দাবি জানাচ্ছি, বিগত কয়েকদিনে যেসকল ছাত্র-ছাত্রী ও ছাত্রনেত্রীবৃন্দ হামলার শিকার হয়েছে তাদের সুচিকিৎসা গ্রহণের ব্যাবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অভিভাবক হিসেবে সকল ছাত্র সংগঠনের প্রতি সংবেদনশীল থেকে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবে-এটি আমরা তার কাছে প্রত্যাশা করি এবং দাবি জানাচ্ছি।

“শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করে সকল ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনে সহাবস্থান নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রক্টরিয়াল বডি ও প্রক্টর দায়িত্বশীল হয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, কোনো বিশেষ ছাত্র সংগঠনের মুখপাত্র হয়ে কাজ করবেন না।”

অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসে এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার পরেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরং আওয়ামী লীগের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। আমরা দেখেছি এই ক্যাম্পাসে নারীর ওপর হামলা হামলা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

অধ্যাপক মামুন বলেন, ক্যাম্পাসে যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো কার্যকর ভূমিকা পালন করেনি। যেটুকু করেছে তাও সরকার সমর্থিত ছাত্র সংগঠনের পক্ষে ভূমিকা পালন করেছে। এসকল ঘটনায় দেখা যায়, যে সকল শিক্ষার্থী হামলার শিকার হয়েছে তাদের ওপরই মামলা দেয়া হয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, গত সোমবার (৩০ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য লাউঞ্জে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সঙ্গে দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন সাদা দলের নেতারা। এসময় ছাত্রদলের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদ ও হামলাকারীদের শাস্তিসহ উপাচার্যের কাছে ৫ দফা দাবি জানায় বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by