প্রতিনিধি ৪ জুলাই ২০২০ , ৭:৩৭:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ
ধোবাউড়া(ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:বর্ষার পানিতে এখন খাল বিল, নদী-নালা ভরপুর। সেই সুবাধে অবাধে ঘুরে বেড়াচ্ছে ঝাঁকে ঝাঁকে মাছের পোনা। কিছুদিনের মধ্যে মাছগুলো বড় হবে। কিন্তু এরই মধ্যে এক শ্রেণি মৎস শিকারি বেড় ও সূতি জাল দিয়ে অবাধে পোনা মাছ নিধনে ব্যস্ত। তবে বেশীরভাগ জেলে দরিদ্র হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে এসব পোনা মাছ নিধন করছেন তারা। টানা বর্ষনে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ধোবাউড়া উপজেলার কংশ, নেতাই নদীসহ বিভিন্ন এলাকায় পানিতে ভরপুর। সরেজমিনে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের নিদয়া বিলে গিয়ে দেখা যায় জেলেরা বেড় ও সূতি জাল দিয়ে অবাধে পোনা মাছ নিধন করছেন। স্থানীয়দের মাঝে বর্ষার পানি প্রবেশের সাথে সাথেই মাছ শিকারের ধুম পড়েছে। নদী থেকে খাল বিলে পানি প্রবেশের পথে বেড় ও খড়া জাল দিয়ে ডিমওয়ালা মা মাছ পোনা মাছ নিধন করা হচ্ছে। প্রতিদিন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে এই মাছ শিকার। খুব সস্তায় স্থানীয় বাজারগুলো এসব মাছ বিক্রি করা হচ্ছে। সরেজমিনে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বিভিণœ এলাকা ঘুরে দেখা নদী ও বিলে পানি প্রবেশের পথগুলোতে বসানো হয়েছে খড়া জাল। এছাড়া দুই নৌকা একসাথে করে বেড় জাল দিয়ে পানি ছেঁকে তুলে আনা হচ্ছে ছোট বড় সব ধরনের মাছ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন বিলে মাছ নিধনের কোন বিধি নিষেধ নেই, যতদিন পানি আছে ততদিন চলবে। মৎস শিকারিদের কাছে বড় বা ছোট বলে কোন মাছ নেই। বর্ষার শুরুতেই স্থানীয় বাজারগুলোতে ছোট মাছ বিক্রি হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ দেখা যাচ্ছেনা। এ ব্যপারে জেলেদের সাথে কথা হলে তারা জানান, মাছ ধরা আমাদের কাজ, সরকার আমাদের অন্য কাজ দিলে আমরা মাছ ধরা ছেড়ে দিব। মৎস সংরক্ষণ আইন ১৯৫০ এ বলা হয়েছে, নির্বিচারে পোনা মাছ ও প্রজননক্ষম মাছ নিধন মৎস সম্পদ বাড়ানোর ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়। আইন অমান্য করলে ১ মাস থেকে সর্বোচ্ছ ১ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও জরিমানার বিধান রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন আমি বিষয়টি সম্পর্কে ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি, খুব শীগ্রই মেবাইলকোর্ট পরিচালনা করা হবে।