লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে নোমান-রাকিব হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত ৩নং আসামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা দেওয়ান ফয়সাল আদালতে খুনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জবানবন্দী দিয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী অ ল চন্দ্রগঞ্জ আদালতের বিচারক আনোয়ারুল কবীরের কাছে তিনি জবানবন্দী দেন।
পরে আদালতে জবানবন্দির বিষয়টি নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ।
এসময় পুলিশ সুপার জানান, যুবলীগ নেতা নোমান ও ছাত্রলীগ নেতা রাকিব হত্যা মামলায় র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে বিভিন্ন স্থান থেকে ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে পুলিশের রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরিমধ্যে মামলার ৩নং আসামী দেওয়ান ফয়সাল স্বেচ্ছায় আদালতে জবানবন্দী দেন। কিভাবে কারা কেন এ খুনে সম্পৃক্ত তাদের তথ্য দেন আদালতে।
এসময় খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত ৮জনের নাম প্রকাশ করেন। ঘটনার রাত ৮ টায় জনৈক এক ব্যাক্তির ফোন কলে ঘটনাস্থলে আসেন ফয়সাল। তার সঙ্গে নোমানের শুত্রুতা ছিল রামগঞ্জ পৌর কাউন্সিলর ভোটে তার প্রতিপক্ষের পক্ষে অবস্থান নেয়া ও উপজেলা যুবলীগে কমিটিতে না রাখা। এর আগে বশিকপুরে নোমানের সঙ্গে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর ঝগড়া ও প্রতিশোধ হিসেবে মারধর করার কথা জানিয়ে ঘটনাস্থলে আনা হয় তাকে। ঘটনাস্থলে এসে অন্য আরো ৭জন অস্ত্রধারীদের সঙ্গে যুক্ত হন ফয়সাল। পরে রাকিব ও নোমানের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে রাকিবকে সর্টগান দিয়ে গুলি করা হয়। এসময় নোমান দৌড়ে দোকানে ঢুকে পড়লে সেখান থেকে ধরে নিয়ে ৩ রাউন্ড গুলি করে ফেলে রেখে হেটে হেটে গিয়ে সিএনজিযোগে রামগঞ্জের দিকে চলে যান। মামলার তদন্ত ও অন্য অপরাধীদের ধরার স্বার্থ দেখিয়ে আর কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করে সাংবাদিকদের সহযোগিতা চাইলেন পুলিশ সুপার।