চট্টগ্রাম

পাহাড়ের ঐতিহ্য ২৩০টি ‘মাচাং ঘর’ পাচ্ছেন ভূমিহীন পরিবার

  প্রতিনিধি ৬ নভেম্বর ২০২২ , ৬:০৭:০৮ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসাবে বান্দরবানে ২৩০টি পাহাড়ি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির (উপজাতি) ভূমিহীন পরিবার পাচ্ছেন তাদের ঐতিহ্যগত ‘মাচাং ঘর’।
পার্বত‍্য চট্টগ্রামের ঐতিহ্য,কৃষ্টি ও সংস্কৃতির সাথে মিল রেখে এসব মাচাং ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি মাচাংঘর নির্মাণের প্রাক্কলন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৬৭০ টাকা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, পাহাড়ি জনগণের চাহিদার ভিত্তিতে এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের মতামত নিয়ে এসব মাচাং ঘর নির্মাণের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী বলেন, প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে একটি প্রতিনিধিদল বান্দরবান পরিদর্শন শেষে মাচাংঘর নির্মাণের যৌক্তিকতা বিবেচনায় এনে বিষয়টি অনুমোদন করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, ভূমিহীন পরিবারের জন্য গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের আওতায় বর্তমানে বান্দরবান সদর উপজেলায় ৯টি, আলীকদম উপজেলায় ১টি, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় ১৫টি রোয়াংছড়ি উপজেলার ৪৫টি, লামা উপজেলায় ১৫টি, রুমা উপজেলায় ১০০টি এবং থানচি উপজেলায় ৪৫টি মাচাংঘর নির্মানের কাজ চলছে।যথা সময়ে নির্মাণ কাজ শেষ হলে এগুলো উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানে চার হাজার ১৩৩টি ভূমিহীন পরিবারের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় গৃহ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ‍্যে তিন হাজার ৫৬০টি গৃহনির্মাণের জন্য ৭০ কোটি ৩৩ লাখ ৭ হাজার ১০০ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে দু হাজার ৯৬৮টি সেমিপাকা ঘর ভূমিহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে ২৩০টি মাচাংঘরসহ সর্বমোট ৫৯২টি গৃহ নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে।
পাহাড়িদের জন্য সেমিপাকা ঘরের পরিবর্তে মাচাংঘর নির্মাণের উদ‍্যোগটি স্থানীয় বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভিন তিবরিজী সাংবাদিকদের বলেন বান্দরবান তথা পার্বত‍্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির (উপজাতি/পাহাড়ি) লোকজন নিজ এলাকার ঐতিহ্য অনুযায়ী ঘর পেলে খুশি হয়। তাই এলাকার ঐতিহ্যর সাথে মিল রেখে ‘মাচাংঘর’ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে ।
বান্দরবান সদর উপজেলার ৬নম্বর জামছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যসিংশৈ মারমা জানান, প্রত্যন্ত এলাকার পাহাড়ি জনগণ সেমিপাকা ঘরের চেয়ে মাচাংঘরকে বেশি পছন্দ করছেন।এর সুবিধা হলো মাচাং এর নীচে গৃহ পালিত পশু পালন সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী সারা বছর সংরক্ষণ করা যায়।
ইউপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, তাঁর ইউনিয়ন পরিষদে সর্বপ্রথম মডেল হিসেবে নির্মিত হচ্ছে মাচাংঘর। তবে এ খাতে সরকারি বরাদ্দ যথেষ্ট নয় উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, একটি টেকসই মাচাংঘর নির্মাণের জন্য কমপক্ষে চার লাখ টাকা বরাদ্দ করা প্রয়োজন।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by