চট্টগ্রাম

বান্দরবানে ঈদের তৃতীয় দিনে বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা 

  প্রতিনিধি ১ জুলাই ২০২৩ , ৯:৪২:২৬ প্রিন্ট সংস্করণ

মোঃ শহীদুল ইসলাম,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি

পাহাড় কন্যা খ্যাত প্রাকৃতিক ভূস্বর্গের  অপার লীলা ভূমি অপরুপা এই বান্দরবান। বছর জুড়ে প্রকৃতি প্রেমী ভ্রমণ পিপাসুদের পদচারণায় মূখরিত থাকে জেলার প্রতিটি দর্শনীয় স্থান।

এ সেক্টরে জীবিকা নির্বাহ করছেন ১০ হাজারেরও বেশী সংখ্যক জনগণ।

তবে এবারের ঈদুল আযহা উপলক্ষে  প্রেক্ষাপট অনেকটাই ভিন্ন। ঈদের ছুটিতে ১ম দুই দিন আশানুরূপ পর্যটক না পাওয়ায় হতাশায়  ছিলেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যাবসায়ীরা।

তবে ঈদুল আযহার তৃতীয় দিনে জেলায় বহুল পর্যটকের আগমন ঘটেছে।

এ বিষয়ে হোটেল গার্ডেন সিটির স্বত্বাধিকারী মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান তৃতীয় দিনে বিপুল সংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে,হোটেল রুম প্রায় ৮০ শতাংশের বেশি ভাড়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

নীলাচলে বপড়াতে আশা এক পর্যটক আমিনুল ইসলাম রতন জানান ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে বান্দরবানে ঘুরতে এসেছেন।স্থানীয় একটি আবাসিক হোটেলে উঠেছেন,পেয়েছেন ডিসকাউন্ট সুবিধাও।তিনি বলেন বান্দরবানের সবচেয়ে জনপ্রিয় পর্যটন স্পট নিলাচল,নীলগিরি এই দুইটা পর্যটন স্পটে ঘুরতেই মূলত পর্ঢ়টকরা বান্দরবানে আশে আর তাই সকলে চাইলে নির্দ্বিধায় জেলার আকর্ষণীয় এই দুইটি পর্যটন কেন্দ্র ঘুরতে পারবেন পরিবার পরিজন নিয়ে।

এদিকে নীলাচল পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার আদিত বড়ুয়া জানান সকাল থেকে বিকেল অবদি প্রায় ৫ হাজার পর্যটক জেলার জনপ্রিয় এই পর্যটন কেন্দ্র টিতে ঘুরতে এসেছে বিগত কয়েক দিনের তুলনায় যা বেশি।

এদিকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়ে জেলা টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ পরিদর্শক স্বপন আইচ জানান জেলায় আগত পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে জেলা সদরের সকল পর্যটন কেন্দ্রে পোশাকে এবং সাদা পোশাকে টুরিস্ট পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছে,সার্বিক নিরাপত্তা যথেষ্ট ভালো থাকায় অন্য জেলা হতে সকল পর্যটকরা অনায়াসে দুশ্চিন্তা মুক্তভাবে জেলা সদরের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ঘুরতে পারবেন।

উল্লেখ্য গত বছর  সেপ্টেম্বর মাসের দিকে জেলার দূর্গম এলাকা গুলোতে সশস্ত্র সংগঠন গুলোর আনাগোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর রুমা – রোয়াংছড়িতে দেশি বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসন। 

এই নিষেধাজ্ঞা কয়েক দফায় বাড়িয়ে রুমা-রোয়াংছড়ি, আলীকদম ও থানচি উপজেলায়ও  আরোপ করা হয়।

পরে আলীকদম উপজেলা হতে নিষেধাজ্ঞা  প্রত্যাহার করা হলেও রুমা-রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় বহাল রয়েছে। 

এছাড়া ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে পর্যটকদের  নিরাপত্তা জনিত কারণে জেলার তিন উপজেলা ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ থাকায় বান্দরবান ভ্রমণ প্রত্যাশীরা বান্দরবান ভ্রমণে বিমূখ হয়ে পড়েছেন। তবে বান্দরবান জেলা সদর ছাড়াও আরো তিনটি উপজেলা ভ্রমন নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকায় এবং নিরাপত্তা জনিত কোন বাধা না থাকায় অন্যান্য সকল জেলা হতে এখানে দর্শনীয় স্থান গুলোতে পর্যটকরা ভ্রমন করতে পারবেন।

এবং পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে সকল উপজেলায় আবাসিক হোটেল,মোটেল রিসোর্ট সমূহে পর্যটকদের সুবিধার জন্য ২০% সহ সর্বোচ্চ ৫০% পর্যন্ত ছাড়ে আবাসিক সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, বান্দরবানের পর্যটন স্পটগুলোতে নতুন নতুন সংযোজন করা হয়েছে।

এগুলো পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় এবং  সুবিধাবৃদ্ধি করা হয়েছে।   তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পরিবার পরিজন নিয়ে সবাই বান্দরবান ঘুরতে আসবেন। 

এছাড়া এবারের পবিত্র ঈদুল আযহা”র ছুটি উপলক্ষে ভ্রমণে আসা পর্যটকের জন্য নীলাচল ও মেঘলা পর্যটন কেন্দ্রের প্রবেশ ফি ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, যা সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত চলবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by