ঢাকা

বান্ধবীর মৃত্যুর কষ্ট সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা

  প্রতিনিধি ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ , ৫:৫০:৩৩ প্রিন্ট সংস্করণ

সাইফুল ইসলাম শুভ, গাজীপুর সদর প্রতিদিন :
গাজীপুর সদর উপ‌জেলার বা‌নিয়ারচালা এলাকায় মোশারফ ক‌ম্পো‌জিট লি‌মি‌টেড কারখানার চাকরি করত দুই বান্ধুবী, প্রতিদিনের মত কাজ শেষ করে কাচা বাজার নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুফিয়া এবং বর্ষা, কিন্তু চালকে বেপরোয়া গতি ও অসাবধানতায় কেরে নিল সুফিয়ার তাজা প্রান। বান্ধুবী কে ছাড়া কিভাবে বাঁচবেন, সেই কষ্ট সইতে না পেরে বর্ষা ও ঝাপ দেয় গাড়ির নিচে এতে প্রাণে বেঁচে গেলেও গুরুতর আহত হয় বর্ষা।
মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত ৭টার দিকে মোশারফ কম্পোজিট গার্মেন্টস ছুটি হওয়ার পর, শ্রমিকরা কারখানা থেকে বাহির হলে। একই  কারখানার কন্টিনারবাহী ট্রেইলার( চট্টঃ মেট্রোঃ ট-১১-৮২২৬) বাহির হওয়ার সময় সুফিয়া (১৮) কে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় এ সময় পেছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থালেই তার মৃত্যু হয়। এবং বর্ষা কিছুটা আহত হয়ে বান্ধুবী জন্য ডাক চিতকার শুরু  করে পরে স্বানীয়রা উদ্ধার করে জয়দেবপুর থানায় পাঠায়।
থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় সাথে থাকা একই কারখানা শ্রমিক ওয়াদুদ মিয়া জানান, আমি অফিস থেকে বের হয়ে দেখি একটি মেয়ে পরে আছে তাকে কুলে নিয়ে কান্নাকাটি করছে আরেকটি মেয়ে এবং সকলের পায়ে ধরছিল মেয়েটাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। কেউ নিয়ে যাচ্ছে না সবাই তাকিয়ে দেখছে পরে আমার পায়ে ধরলে আমি একটি অটো রিক্সা করে থানার দিকে যাই, এসময় আহত বর্ষা মেয়েটা অটো রিক্সা থেকে নেমে কাভার্ডভ্যানের সামনে ঝাঁপ দেয়, তখন মেয়েটা গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রেরণ করা হয়।
নিহত সুফিয়া সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রামের আলী আকবর এর মেয়ে, এবং
আহত বর্ষা গাজীপুর জয়দেবপুর থানার পিংগাইল গ্রামের চারু মোহন বর্মণ মেয়ে। তারা দুজনেই মোশারফ কম্পোজিট কারখানায় কর্মরত শ্রমিক ছিলেন।
এ ঘটনায় মেয়ের বড় ভাই মিলন বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় এক জনকে আসামী করে সড়ক পরিবহণ আইনে একটি হত্যা মামলা (মামলা নং ২১) দায়ের করেন। আসামী গাড়ির চালক ভোলার তজুমদ্দিন থানার আরালিয়া গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে নুর আলম (৩৯),।
এ ঘটনায় মোশারফ ক‌ম্পো‌জিট লি‌মি‌টেড কারখানার কর্তৃপক্ষের সাথে সংবাদকর্মীরা কথা বলতে গেলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি। তবে এই কারখানার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শিশু শ্রমিক দিয়ে কাজ করানো তাদের নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিয়ে খুব জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহতাব উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে এবং একজন আহত অবস্থায় গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। এবং গাড়ি চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সড়ক পরিবহণ আইনে একটি হত্যা মামলা দায়ে করে বুধবার দুপুরে গাজীপুর কোট হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

আরও খবর

Sponsered content

Powered by