চট্টগ্রাম

বিজয়নগরে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মচারীর কমিশন বাণিজ্য

  প্রতিনিধি ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৭:১৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

আলমগীর হোসেন বিজয়নগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া :

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মচারী আলমগীর কবির এর কমিশন বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায় আলমগীর কবির উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের গত ২০০৯ সালে ফার্মাসিস্ট পদে যোগদান করেন, এবং একই স্থানে প্রায় ১৪ বছর কর্মরত আছেন। আর একই স্থানে দীর্ঘমেয়াদী হওয়াতে নিয়ম বহির্ভূত কাজ সহজ করে নিয়েছেন।
জানা যায় একজন ফার্মাসিস্ট যদিও তার কাজ মাএ প্রেসক্রিপশন দেখে ঔষধ হস্তান্তর করা কিন্তু সে, রোগীকে নিয়মিত তার প্রেসক্রিপশন লিখে যাচ্ছে।

সে তার ঔষধি প্রেসক্রিপশন এর সাথে নিজের বাণিজ্য ধরে রাখতে প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার তার নিয়মিত হাতিয়ার ব্যবহার করে রোগী পাঠিয়ে মাসিক কোটা পূরণ করে প্রথম স্থানে সর্বোচ্চ কমিশন আদায় করিয়েছেন।
এবং সরকারি চাকরির সময়ের ফাঁকি দিয়ে তার বাণিজ্য সচল রাখতে ২০১৯ইং থেকে ২০২০ইং পর্যন্ত উপজেলার আমতলী বাজারে মেঘনা ডায়গনস্টিক সেন্টারে এম ডি পদে নিয়োজিত ছিলেন। সাথে সাথে কমিশন ভিত্তিক তার মাসিক রোগীর কৌটাও পূরণ করে আসছিলেন। এবং সেই সেন্টারের মালিকানা শেয়ার ছিল বলে জানা যায়।
২০২১ইং থেকে ২০২২ইং পর্যন্ত একই এলাকার পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার তার স্ত্রী নাছরিন সুলতানার নামে মালিকানা শেয়ার চলমান রেখে নিজেও পরিচালক প্রশাসন পদে নিয়োজিত ছিলেন। সাথে সাথে কমিশন ভিত্তিক মাসিক রোগীর কৌটা পূরণ করে আসছিল, এসব সেন্টার থেকে কর্মফল হিসেবে অব্যাহতি পেলে, বর্তমানে নতুন ডেল্টা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক ও ফিজিওথেরাপি সেন্টার নামক প্রতিষ্ঠান সচল করতে কাজ করে যাচ্ছেন।বিভিন্ন সময় তার বদলির আদেশ হলেও, কোন না কোন উপায়ে তা স্থগিত করে রাখেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলমগীর কবির, কোন যৌক্তিক জবাব দিতে পারেনি।

ইছাপুরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল দৈনিক ভোরের দর্পণকে বলেন, আমার কাছে এমন অভিযোগ আসেনি, যদি এমন কোন তথ্য পাওয়া যায় অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। আপনারা আরও তথ্য নিয়ে দেখেন।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রওশনআরা বলেন, আমাদের কোন কর্মচারী বা কর্মকর্তা কমিশন ভিত্তিক কোনো রোগীকে ডায়াগনস্টিক সেন্টার পাঠানো অনৈতিক, তিনি আরও বলেন, আমি বিজয়নগর এরিয়াতে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি, তবে আমি বিষয়টি জানার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করিয়াছি।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by