ময়মনসিংহ

ভালুকায় সরকারী স্কুলের ভবন ভেঙে মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ

  প্রতিনিধি ১৫ জুলাই ২০২৩ , ৬:৩৬:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ



মো: শাহিদুজ্জামান সবুজ ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের ভালুকায় অনুমতি ছাড়া স্কুলের পুরাতন ভবন ভেঙে মালামাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তারের বিরুদ্ধে।

ঘটনাটি উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের ৭১ নং কাদিগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।

শুক্রবার (১৪ই জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়,
উপজেলার কাচিনা ইউনিয়নের ৭১ নং কাদিগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অনুমতি ছাড়া স্কুল ভবনের একটি কক্ষ ভেঙে মালামাল আত্মসাৎ করে রেখেছে।

এ ঘটনায় ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি ও দাতা আবুল কালাম আজাদ তালুকদার গত ৯ জুলাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানাযায়, ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও তার স্বামী এস আই সালেহ ইমরান স্কুলের জমি দখলে রেখে তাতে মাছের ফিসারী ও দোকানপাট নির্মাণ করেছে।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের জমি দাতা ও ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ তালুকদার জানান, সরকারী স্কুলের সম্পত্তি উদ্ধার করতে গিয়ে তিনি ও ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। তিনি আরো বলেন, বিদ্যালয়ের বেহাত হওয়া প্রায় ৫৭ শতাংশ জমি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের স্বামী বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত এস.আই সালেহ ইমরানের ভোগ দখলে রয়েছে। দখল কৃত জমি উদ্ধারের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

এছাড়াও এস.আই সালেহ ইমরানের বিরুদ্ধে সরকারী কালভার্টের মুখ বন্ধ, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে কৃষি জমির ফসল নষ্ট ও সাধারণ মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন একই গ্রামের মৃত হোসেন এর ছেলে মেছের আলী।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, স্কুলের ভবন ভাঙ্গা ও জমি দখল সহ অন্যান্য  বিষয় নিয়ে গত ১০ জুলাই ২৩ইং তারিখে উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মিটিংএ আলোচনা করে সহকারী কমিশনার ভূমি (ভালুকা) সোমাইয়া আক্তার কে প্রধান করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পুলিশের এস.আই সালেহ ইমরান মোবাইল ফোনে জানান, কালভার্টের মুখ বন্ধ করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও সরকারী স্কুলের জমি জবর দখলের অভিযোগ সঠিক নয় আর বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নুপুর আক্তার বলেন, সরকারী নিয়ম মেনেই ভবন ভাঙ্গা হয়েছে এবং মালামাল সংরক্ষিত আছে।

এ ঘটনায়, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ আহমেদ ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by