চট্টগ্রাম

মতলব উত্তরে সিপাই কান্দি গ্রামে ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গন

  প্রতিনিধি ৭ এপ্রিল ২০২২ , ৮:১৯:১৪ প্রিন্ট সংস্করণ

 

সম্রাট সিকদার, মতলব প্রতিনিধি:

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১০ নং ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়নের সিপাই কান্দি মরহুম চাঁদ মিয়া মেম্বার সাহেবের বাড়ির জামে মসজিদের সামনে আবার ও ধনাগোদা নদীর ভাঙ্গন দেখা দিয়েছ।

অতিতে ঐ গ্রামটি ধনাগোদা রাক্ষুসে নদীর ভাঙ্গনে লন্ড বন্ড করে দিয়েছে। বিগত দিনে প্রায় দুই শতাধিক বসত বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এ ছাড়া প্রায় দুই / তিনশত একর আবাদি জমি নদী গর্ভে চলে যায়। আরও বিলীন হয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২/৩ টি মসজিদ। এ নদী ভাঙ্গন রোদ করার জন্য গ্রাম বাসি মাওলানা মোহাদ্দেস এনে দোয়া দরুদপাঠ, মিলাদ মোনাজাত পরিচালনা করেন। ২০০৭/২০০৮ সালে আল্লাহর অশেষ রহমত হয় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃ পক্ষের নিকট। ঐ সময় যমুনা মেঘনা রিভার ইরোশন মিটিগেশন প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ নদী ভাঙ্গন রোদে বড় আকারের ব্লক ও জিও টেক্সটাইল ব্যাগ নদীর তীরবর্তী এলাকায় নিক্ষেপ করে নদী ভাঙ্গন রোদ করে। বাকী অংশ সিপাই কান্দি গ্রামের আংশিক ও ঠেটালীয়া গ্রামের নদীর তীরবর্তী এলাকায় বড় আকারের বালিবর্তী জিও টেক্সটাইল ব্যাগ নিক্ষেপ হয়।

এখানে ২০১৯ /২০ ও ২০২০/২১ অর্থ বছরে চাঁদপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড নুরুল আমিন রুহুল এমপির নির্দেশ ক্রমে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার ব্যবস্হা গ্রহণ করেন।

গত ৫ এপ্রিল সকালে হঠাৎ করে সিপাই কান্দি মরহুম চাঁদ মিয়া মেম্বার সাহেবের বাড়ির জামে মসজিদের সামনে প্রায় ১০০ ফুট জায়গা নদীতে দেবে যায়। এখানে ব্লক ও জিও টেক্সটাইল ব্যাগ ডাম্পিং করা ছিল। তাৎক্ষণিক মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার ও মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজী শরীফুল হাসানকে অবগত করা হলে নদী ভাঙ্গন রোদে ব্যবস্হা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

অতি জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য চাঁদপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. মোঃ নুরুল আমিন রুহুল এমপির কাছে জোর দাবি জানান এলাকাবাসি।

আরও খবর

Sponsered content

Powered by